নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট ও ধূপগুড়ি: দোকান খুলতে চক্ষু চড়ক গাছ। ফনা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, বিশাল আকার পদ্ম গোখরো।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর গ্ৰামপঞ্চায়েতের বিশপুর বাইলানি রোডের ত্রিমোহিনীতে তাপস দাসের অনলাইন দোকান। আজ সকাল ১১ টা নাগাদ তাপস দাস দোকান খুলে দেখে বিশাল আকারের একটা পদ্ম গোখরো(Padma Gokhra) সাপ ঘোরাফেরা করছে। লাগাতার বৃষ্টির বলে এলাকার জলমগ্ন খাদ্যের সন্ধানে লোকলায় আশ্রয় নিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান সুন্দরবনবাসি। দোকানের ভিতরে তারপরে সে ভয়ে পথ চলতি মানুষ লোক ও রাস্তার লোক ডেকে জড়ো করে ।
মানুষেরা ফরেস্ট অফিসে লোকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা হয়। অবশেষে ফয়েস্ট অফিসের কর্মীরা সাপটাকে উদ্ধার করে বসিরহাট বন দফতরে(Bashirhat Forest Office) নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধুপগুড়িতে অপর একটি ঘটনা ঘটে।বাড়িতে হঠাৎ বিশাল আকারের হাতি এসে উপস্থিত হয়। প্রথমে এতো বড় জল জ্যান্ত হাতি দেখে চক্ষুস্থির হয়েছেন বাড়ির সকলে। না এই হাতি জঙ্গলের সেই দাঁতাল হাতি নয় । এটা এসেছে সুদূর মেদিনীপুর থেকে ধূপগুড়িতে(Dhupguri)। মঙ্গলবার ধূপগুড়ির গাদং এক এবং সাঁকোয়াঝোড়া দুই এর বিভিন্ন এলাকায় হাতিটিকে ঘুরতে দেখা যায়।হাতের নাগালের মধ্যে গনেশ বাবাকে দেখে অনেকে ভক্তি ভরে খেতে দেয় কলাগাছ, চাল ,ভুট্টা ,চিড়া। এনে দেয় জল। অনেকে বুকে ভয় ভয় নিয়ে হাতির গায়ে হাত বুলান।
অনেকে আবার হাতির(Elephant) পাশে গিয়ে টুক করে সেলফিও তুলে নেন। এদিন কুনকি হাতির সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি জানালেন তারা মেদিনীপুর থেকে গত পনেরো দিন আগে রওনা দিয়েছেন। তারা জানান, তাদের গ্রামে হাতি পুজো রয়েছে। তাই তারা ধূপগুড়ির বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য হাতি নিয়ে ঘুরছেন। এদিন তারা ধুপগুড়ির গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কথাপাড়া সাঁকোয়াঝোড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোসাইর হাটের বিভিন্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি কুনকিহাতি নিয়ে ঘোরেন। বাড়ির উঠোনে মস্ত বড় হাতি দেখে খুশি আট থেকে আশি সকলে।