নিজস্ব প্রতিনিধি: দারিদ্রতা যেন তাঁর কাছে ‘অভিশাপ’। জন্ম থেকেই অর্থাভাব, কিন্তু সেই আক্ষেপে ভাগ্যকে দোষ না দিয়েই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন মেমারির পদ্ম ক্ষেত্রপাল। দারিদ্রতা চরমে রয়েছে, সংসারে রয়েছে নানান অভাব। কিন্তু সেই বিষয়কে সঙ্গে নিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের পদ্ম। দারিদ্রতা ‘অভিশাপ’ নয়, ‘আশীর্বাদ’ ভেবেই ভোটের ময়দানে লড়ছেন পদ্ম। দারিদ্রতা ঘোচাতে মানুষ যেখানে ছোটে কাজ বা ব্যবসার দিকে। পদ্ম ছুটেছেন রাজনৈতিক ময়দানে। তাঁর লক্ষ্য দারিদ্রতা থেকে তাঁর মত আরও দশজনকে বের করে আনা।
বাবার তেলেভাজার দোকান। যা করোনায় ব্যবসাতে জোর ধাক্কা দিয়েছে। তাই অভাব বেড়েছে। কিন্তু তাতেও ‘কুচ পরোয়া নেই’, ভোটের ময়দানে জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নানা প্রকল্প ও গরীব কল্যান মূলক কাজ করে নিজের ও এলাকার হাল ফেরাতে চাইছেন পদ্ম ক্ষেত্রপাল(Padma khetrapal)। এই ক্ষেত্রে তাঁর অনুপ্রেরণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata banerjee)। তাই তৃণমূলের হয়েই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন পদ্ম ক্ষেত্রপাল। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভায় ভোটগ্রহণ। পদ্ম তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন মেমারি(Memari) পুরসভায়। তাঁর বিশ্বাস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata banerjee) জনমুখী প্রকল্প এলাকার মানুষদের উন্নয়ন করবে। ও তিনি ভোটে জিতে নিজের হাতে সেই কাজ আরও বেশি করে করবেন।
এই বিষয়ে পদ্ম জানিয়েছেন, ‘গরিব মানুষের বড় সমস্যা এখনও আবেদন করেও অনেকে ঘর পাননি। কষ্টে আছে। একদিন আমাদের ঘরের ছাদ দিয়ে বর্ষায় জল পড়ত। তাই ভোটে আমার ওয়ার্ডের নাগরিক আমাকে জেতালে প্রথমে আমি আবাস যোজনায় ঘরের সমস্যা মেটাব। তারপর নিকাশি ব্যবস্থা ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে জোর দেব।’ পদ্মের(Padma khetrapal) আরও একটি বিষয় রয়েছে যা লক্ষণীয়। মেমারি পুরসভায় তিনি কনিষ্ঠতম প্রার্থী। তাই শাসকদলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে এলাকার মানুষদের উন্নয়ন করতেই চাইছেন পদ্ম(Padma khetrapal)।