নিজস্ব প্রতিনিধি,কৃষ্ণনগর ও মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত দখল নিতে বিজেপি কোথাও কংগ্রেসের সঙ্গে কোথাও বা সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলালো। উদ্দেশ্য পঞ্চায়েতের পরিচালনায় ক্ষমতা দখল নেওয়া। নজিরবিহীনভাবে কোথাও সিপিএমের সঙ্গে, কোথাও বা বাম শরিক আরএসপি অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে, ক্ষমতার লোভে হাত মেলায় গেরুয়া শিবির।
কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত(Ruipukur Gram Panchayet) সিপিএম এর সঙ্গে যোগাযোগ করে দখল নিল বিজেপি। ওই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২। এর মধ্যে তৃণমূল দখল করেছিল ১২টি আসন। সিপিএমের(CPM) দখলে ছিল ৩টি আসন । বিজেপির দখলে ছিল ৭টি আসন। কিন্তু তৃণমূলের এক সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় তাদের জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা কমে হয় ১১। মঙ্গলবার ওই পঞ্চায়েতের ভোট গঠনের সময় তৃণমূলের এক সদস্য যোগ দেন বিজেপিতে(BJP)। এর ফলে সিপিএম বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বিজেপি নিজেদের দখলে ১১ জন সদস্যকে পায় অপরদিকে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমে হয় ১০। ফলে ফলাফল দাঁড়ায় ১১ ও ১০।
রুই পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের এক সদস্যকে নিজেদের গেরুয়া শিবিরে যুদ্ধ করে দখল নেয় বিজেপি। অন্যদিকে মুশিদাবাদ জেলার সুতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর(Adhir Ranjan Chowdhury) গড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত মহিষাইলের দখল নিল বিজেপি। এখানে বিজেপি কংগ্রেস ও আরএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই পঞ্চায়েতটি দখল নেয়। জানা গিয়েছে ওই পঞ্চায়েতে প্রধান হলেন কংগ্রেসের এবং উপপ্রধান হলেন বিজেপির। মুর্শিদাবাদের জেলার এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৫। যেখানে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী সংখ্যা মাত্র ১০। তাই বিরোধীরা নিজেদের মধ্যে জোট বাধায় এই পঞ্চায়েতে কোণঠাসা হয়ে যায় তৃণমূল।