নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ার পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি আমি করিনি। শুক্রবার আদালতে পেশ করার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করেন কংগ্রেস সদস্য মোহাম্মদ মুস্তফা। যদিও পুলিশের দাবি তার বয়ানে অসংলগ্নতা রয়েছে । তাই তাকে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।অবশেষে পাঞ্জিপাড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুনে গ্রেফতার হন পাঞ্জিপাড়া পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য তথা কংগ্রেস দলের স্থানীয় নেতা মহম্মদ মুস্তাফা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান, ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(Add.S.P.) ৷ এদিন ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মন্ডল জানান । জানা গিয়েছে, যখন পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে মোটরসাইকেলে বসছিলেন সেই সময় দুষ্কৃতীদের মোটরসাইকেলে সেও ছিল তার সঙ্গে।
দুষ্কৃতীরা গুলি ছুঁড়লে সে ছিটকে পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে পঞ্চায়েত প্রধানকে(Panchayet Pradhan) গুলি ছুঁড়ে চম্পট দেয়। এদিকে পান্জিপারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান খুন হওয়ার পর তার স্ত্রী ওই কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিনভর ওই পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যকে যারা করার পর রাত আটটা নাগাদ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় শুক্রবার এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ সহ ধৃতকে আদালতে পেশ করে পুলিশ।
যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধৃত কংগ্রেস সদস্য দাবি করেন,, তিনি গুলি ছোড়েন নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বুধবার স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের হওয়ার সময় পাঞ্জিপাড়ার পঞ্চায়েত প্রধান দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় পঞ্চায়েত প্রধান রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে বিহারের কিশানগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে বলে ঘোষণা করে এই পর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।