এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রেলশহর আদ্রাকে পুরসভা করার দাবিতে চিঠি নবান্নে

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের অন্যতম রেলশহর(Rail Town)। কিন্তু সেই এলাকা না পুরসভা, না পঞ্চায়েত এলাকা। তাই সেখানে না হয় পুরনির্বাচন(Municipal Election), না হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election)। জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হওয়া সত্ত্বেও সেখানে নেই বাসস্ট্যান্ড, নেই স্থায়ী কোনও বাজার, নেই ভালো রাস্তাঘাটও। নেই ভালো নিকাশি ব্যবস্থাও। ৭ কিমির মধ্যে নেই কোনও সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল। নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক স্কুলও। এলাকায় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের নির্বাচিত কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় প্রয়োজনীয় নথি পেতে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। আশেপাশের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এই রেল শহরের বাসিন্দাদের ছিঁটেফোঁটা সাহায্য করে না। সাংসদ বা বিধায়ক ছাড়া প্রয়োজনীয় নথি কার্যত মেলেই না। আর সেই সাংসদ ও বিধায়ক ডুমুরের ফুল ছাড়া আর কিছুই নন। তাই নিজেদের ভোগান্তি কাটাতে এবারে রেল শহরের বাসিন্দারা চিঠি পাঠালেন নবান্নে(Nabanna)। তাতে দাবি, ‘দিদি কিছু করুন। না শহর না গ্রাম, এমন অবস্থায় পড়ে আছি আমরা। আমাদের এলাকাকে পুরসভার স্বীকৃতি দিন।’ আর যে রেলশহরকে ঘিরে এই পুরসভা গড়ার দাবি সেটি হল পুরুলিয়া(Purulia) জেলার আদ্রা(Adra)।

আরও পড়ুন কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ শুভদীপের, FB দেখলে চমকে যাবেন

আদ্রা রেলের কলোনিকে ঘিরেই এই রেল শহর গড়ে উঠেছে। ক্রমে ক্রমে সেই শহরের যথেষ্ট বিস্তার ঘটেছে। রেল কলোনি এলাকা বাদ দিয়েও এখন শহরের বাসিন্দা প্রায় ৪০ হাজার। রেল কলোনি ধরলে তা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এহেন এলাকা ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভাগ হয়ে পড়ে আছে। এই ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হল বেঁকো, আড়রা, শাঁকা ও গগনাবাদ। কিন্তু যেহেতু সেটি রেলের এলাকা সেখানে তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনও হয় না। আবার এলাকাটি পুরসভাও নয়। তাই এই ৪০ হাজার বাসিন্দার জনপ্রতিনিধি বলতে ২জন সাংসদ ও ২জন বিধায়ক। কেননা এলাকাটি রঘুনাথপুর ও কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিভক্ত। আবার এই দুটি বিধানসভা দুটি পৃথক পৃথক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে। রঘুনাথপুর রয়েছে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আর কাশীপুর রয়েছে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। তাই নিজেদের প্রয়োজনে আদ্রার বাসিন্দাদের কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয় এই ২জন বিধায়ক ও ২জন সাংসদের নাগাল পেতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা তাঁরা পান না বললেই চলে। সাধারন মানুষের সব থেকে বড় ক্ষোভ, আদ্রার থেকে ছোট ও কম জনসংখ্যার হলেও রঘুনাথপুর, ঝালদা, সোনামুখী পুরসভা হয়ে গিয়েছে। অথচ ৪০ হাজারের জনসংখ্যার আদ্রা তা হয়ে ওঠেনি। ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের ভারত সরকারের বিরুদ্ধেও। কেননা আদ্রা যেহেতু রেলের এলাকা তাই এখানকার উন্নয়ন তাঁদের ঘাড়েও বর্তায়। রেলও তাঁদের কলোনি এলাকার বাইরে কিছুই করে না।

আরও পড়ুন SSC’র ৮০০ স্কুল শিক্ষকের চাকরি যাচ্ছেই

তবে আর মুখ বুজে সব কিছু মেনে নিতে চাইছেন না আদ্রাবাসী। শহরের কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছেন আদ্রাকে যাতে পুরসভা করা যায় সেই বিষয়ে নানান সরকারি মহলে আবেদন নিবেদন করতে। ইতিমধ্যেই তাঁরা ১ হাজার মানুষের গণসাক্ষর সংগ্রহ করে তা চিঠির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে, জেলা শাসককে ও মহকুমা শাসককেও। যদিও তাতে খুব তাড়াতাড়ি সাড়া মিলবে এমন আশা তাঁরাও করছেন না। কেননা রাজ্য সরকার এখন চট করে নতুন কোনও পুরসভা গড়ার দিকে এগিয়ে আসছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে হাতেগোণা কিছু এলাকাই পুরসভায় উন্নীত হয়েছে। তার মধ্যে যেমন ডানকুনি, বুনিয়াদপুর আছে তেমনি আছে ফালাকাটা ও ময়নাগুড়ি। এখন দেখার বিষয় আদ্রা নিয়ে মমতার সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর