নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবা মারা গিয়েছেন মাস ৬ আগে। তাই সংসারের হাল ধরতে মাকে পরিচারিকার কাজ নিতে হয়েছে। ফলে তিনি আর ঘরে থাকেন না দিনের অধিকাংশ সময়। নাবালিকা মেয়েকে কে দেখবে এই চিন্তা থেকেই স্কুলের হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই হোস্টেলেই যে মেয়ের চরম সর্বনাশ হয়ে যাবে সেটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তিনি। যখন বুঝলেন তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। যদিও থানায় অভিযোগ জানাতে পিছুপা হননি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার গ্রেফতার(Arrest) হলেন এক স্কুল শিক্ষক(School Teacher)। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার কুলতলি(Kultali) থানা এলাকা। গ্রেফতার হওয়া স্কুল শিক্ষকের নাম রণজিৎ বৈদ্য। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে পেশ করা হয় বারুইপুর আদালতে।
জানা গিয়েছে, কুলতলি থানা এলাকার কেওড়াখালি বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে নাবালিকা ছাত্রীটি থাকত গত ৪ মাস ধরে। অভিযোগ উঠেছে, ওই স্কুলেরই শিক্ষক রণজিৎ প্রতিদিন সকালে হোস্টেলের ঘরে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করে যাচ্ছিল। বিষয়টি প্রথমে নিজের মাকে না জানালেও বার বার তাকে হোস্টেল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলত ওই নাবালিকা ছাত্রী। গতকাল সে সব কথা জানায় তার মাকে। এরপরেই কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ গ্রেফতার করে রণজিৎ বৈদ্যকে। ঘটনা প্রসঙ্গে নাবালিকা জানিয়েছে, ‘আমরা তিনটে মেয়ে একসঙ্গে ঘুমাতাম। আমি একটু দেরি করে উঠতাম। এরপর প্রতিদিন সকালেই স্যার তাদের ঘর থেকে বের করে দিত। আর তারপর আমার সঙ্গে অসভ্যতা করত।’ পুলিশ এখন তদন্ত করে এটা দেখতে চাইছে শুধু এই মেয়েটির সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে নাকি ওই হোস্টেলে থাকা আরও মেয়েদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে।