নিজস্ব প্রতিনিধি: বোমা বিক্রি করা হত অনলাইনে (ONLINE)! ছবি পাঠানো হত বিভিন্ন অ্যাপে। কোনটা পছন্দ তা জানিয়ে করতে হত ‘অ্যাড টু কার্ট’। তারপরে অনলাইনের করতে হত পেমেন্ট। আর এতেই বোমা পৌঁছে যেত সোজাসুজি বাড়ি। যাকে বলা হয় হোম ডেলিভারি (HOME DELIVERY)। পুলিশের (POLICE) তৎপরতায় ধরা পড়ল অভিযুক্ত।
ফোনের মাধ্যমেই চলত বোমার (BOMB) অনলাইন কারবার। বেশ সতর্কভাবেই চলছিল ওই চক্রের ব্যবসা। তবে পুলিশের চালে ভেস্তে গেল সেই রমরমা ব্যবসা। গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের মূল পাণ্ডা মকবুল শেখকে। কাটোয়ার এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে দেখা গিয়েছে চাঞ্চল্য। ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
কাটোয়ার মুলটি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মকবুলের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬ টি তাজা বোমা। জানা গিয়েছে, অনলাইনে বুক করা বোমার বিভিন্ন দর। সুতলি বোমার হোম ডেলিভারি করা হত ২৫০ টাকায়। আবার কৌটো বোমা মিলত ৪৫০ টাকায়। স্থানীয় থানা সূত্রে খবর, অভিযান চালিয়ে দেখা যায় গ্রাহককে হোম ডেলিভারি দেওয়ার আগে বোমাকে তাজা রাখতে তা তুষের ওপর শুকোতে দেওয়া হয়েছিল। ধৃত নিজের বাড়ির শৌচকর্ম করার ছাদেই শুকোতে দিয়েছিল ৬ টি বোমা। অভিযান চালিয়ে মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বোমা ও পাণ্ডার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বোমা বিক্রির একাধিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বোমার একাধিক ছবি পাঠানো হয়েছিল মোবাইল নম্বরে। স্থানীয় থানা জানিয়েছে, ক্রেতাদের খোঁজ চলছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে হাজির হয়েছিল বম্ব স্কোয়াড। বোমা বাজেয়াপ্ত করার পর তা দূরে ও ফাঁকা জায়গায় গিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ধৃতের পরিবারের দাবি, বাড়িতে বোমা তৈরি হত না। পাটকাঠি আনতে গিয়ে ছাদে ওঠে বাড়ির ছেলে। তখনই দেখতে পায় বোমা। তা দেখেই ছবি তুলে রেখেছিল ছেলে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, লোকজন ব্যাগ নিয়ে ওর বাড়িতে যেত। শোনা গিয়েছিল বোমা বিক্রি হয়। ওর কথা ছিল ব্যাগ নিয়ে আত্মীয়রা বাড়িতে আসত।