নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘খিদে পেয়েছে স্যার। চেখে দেখবেন নাকি একটু! যেমন দাম দেবেন তেমনি প্লেট পাবেন। কচি থেকে বুড়ি সব আছে স্যার। যেমন দাম তেমন সার্ভিস। মন একদম কুল হয়ে যাবে। ছেলেও আছে স্যার। কচি থেকে ইয়ং জিম বোল্ড। যা চাইবেন তাই পাবেন।’ এই কথাগুলো সেখানে গেলে যে কোনও পুরুষ খদ্দের শুনতে পেতেন পার্লারের ম্যানেজারের কাছ থেকে। কে আর সেই সব খাবার না খেয়ে আসে। বেশ চলছিল ব্যবসা। সামনে পার্লার, ভিতরে গরম খাবার। মানে মধুচক্র(Honey Trap)। শেষে সেখানেই হানা দিল পুলিশ(Police)। ঘটনাস্থল সেই দুর্গাপুর(Durgapur), সেই সিটি সেন্টার। এর আগেও রাজ্যের ইস্পাতনগরীর এই এলাকায় একাধিকবার একাধিক বার থেকে পার্লারে(Parlour) হানা দিয়েছে পুলিশ। সেই হানাদারির নেপথ্যে ছিল মধুচক্র চালানোর অভিযোগ। ধরা পড়েছে অনেকে। কিন্তু খিদে যেমন মেটে না, তেমনি মেটে না মধুর টান। তাই আবার গজিয়েছিল। এবার আবার ধরা পড়ল। কাল আবার কোথাও মাথা তুলে ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে একটি পার্লারের আড়ালে মধুচক্রের ঠেক চলছে। সেখানে এলাকার ছেলেরা ভিড় করার পাশাপাশি বাইরের লোকেরাও আসছ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাতেই আটক ৫ ব্যক্তি, ৪ যুবতী। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ ওই অভিযান চালায় পুলিশ। শুক্রবার এই ৯জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এর আগেও রাজ্যের ইস্পাতনগরীর সিটি সেন্টার ও বিধাননগর এলাকায় বার, পাব ও পার্লারের অয়াড়ালে মধুচক্রের ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে সেই সব জায়গায় পুলিশ অভিযানও চালিয়েছিল। কিন্তু কোনও না কোনও জায়গায় আবার সেই সব মধুচক্র রমরমিয়ে ব্যবসা করতে শুরু করে দিয়েছিল। অর্থাৎ খদ্দেরের চাহিদা না কমায় আর পণ্যের যোগান ভাল থাকায় দুর্গাপুর এখন কার্যত মধুচক্রের শহর হয়ে উঠেছে। খাও দাও মওজ মানাও, দুর্গাপুরে এখন এটাই বেদবাক্য।