নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিশ্রুতি ছিল টাকা দিলে মিলবে সরকারি চাকরি, তাও খাদ্য ভবনে। সেই কথায় বিশ্বাস করে ১৫জন যুবক দিয়েছিল টাকা। কেউ ১ লক্ষ কেউ বা ৭৫ হাজার, কেউ বা ৫০ হাজার টাকা। কেউ আবার দেড় লক্ষ টাকাও দিয়েছিল। কিন্তু সেই ১৫জনের কেউই চাকরি পাননি, না সরকারি না বেসরকারি। ফেরত পাননি টাকাও। সেই ১৫জনের একজন এবার দ্বারস্থ হয় পুলিশ প্রশাসনের। তার জেরেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করল ১জনকে। ধৃতের নাম গৌতম মজুমদার(Goutam Majumdar)। বাড়ি নদিয়া জেলার কল্যাণী থানার সীমান্ততলা এলাকায়। পুলিশ তাকে সেখান থেকেই গ্রেফতার(Arrest) করেছে। তার বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কাটোয়া(Katwa) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাটোয়া শহরের ঘোষেশ্বর তলা এলাকার বাসিন্দা সুমন্ত দাস।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের পানুহাটের এক বন্ধুর সূত্রে নদিয়ার(Nadia) কল্যাণী(Kalyani) এলাকার গৌতম মজুমদারের সঙ্গে আলাপ হয় সুমন্তের। চাকরি পাওয়ার আশায় কয়েকজন বন্ধু মিলে তাঁরা গিয়েছিলেন গৌতমের বাড়িতে। সেখানেই গৌতম ও তার ছেলে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেয় টাকা দিলে সে তাঁদের খাদ্যভবনে পাকা সরকারি চাকরি পাইয়ে দেবেন। সেই মতো সুমন্তের মতো কাটোয়া শহরের জন ১৫ যুবকের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা তোলে গৌতম। কিন্তু তার পরেও ওই যুবকেরা চাকরি পায়নি। এমনকি যে টাকা নেওয়া হয়েছিল সেই টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। সুমন্ত নিজে টাকা চাইতে গেলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। শেষে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কাটোয়া থানায় গৌতমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সুমন্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে ও গ্রেফতার করে গৌতমকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ গৌতমের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সিল করেছে। সেই অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।