নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন সূত্রে এসেছিল খবর। তালাবন্দী ফ্ল্যাটে আছে টাকার পাহাড়। সেই খবরের ওপর ভর দিয়েই বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আর তার জেরেই বেড়িয়ে আসে থোক থোক টাকা। শুক্রবার দুপুরে সেই টাকা গোনার পালা শেষ হতে দেখা যায় মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। যার বাড়ি থেকে এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার হল তিনি আবার পেশায় অধ্যাপক। একজন শিক্ষকের বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়ায় আবারও কাঠগড়ায় রাজ্যের শিক্ষক সমাজ। কার্যত মাথা নীচু হয়ে গিয়েছে তাঁদের। এখন প্রশ্ন উঠছে এই টাকার সঙ্গে কী রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ আছে? এই টাকা কী নিয়োগ দুর্নীতির ফসল? পুলিশ আপাতত এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। তবে তাঁদের প্রাথমিক দাবি, নানা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার সূত্রে যে কমিশন আসত এটা তারই একটা অংশ।
আরও পড়ুন রবিবার সেট পরীক্ষা, ৫০ শতাংশের বেশি প্রশ্ন হবে বাংলায়
জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক বছর আগে অমিতাভ দাস(Amitabho Das) নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক(Professor) পরিচয় দিয়ে খড়দহের(Khardaha) নাথুপাল ঘাট রোডে এই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের(Barracpur Police Commissionerate) কাছে এই মর্মে গোপন খবর এসেছিল। তার জেরেই বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালায় অমিতাভের ফ্ল্যাটে। আর তার জেরেই উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। পুলিশের দাবি, বিএড, এলএলবি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে নেওয়া টাকার কমিশন হিসেবে এই ফ্ল্যাটে রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই ফ্ল্যাটে চিরুনি তল্লাশির পাশাপাশি অমিতাভকে রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং খড়দহ থানার পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি, অমিতাভ দাস এবং তার স্ত্রী বর্ণালী সাধুখাঁ এবং এক সন্তানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে গত আড়াই বছর ধরে বসবাস করেন। ঠিক কী কারণে পুলিশ এসে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই তাঁদের। যদিও এর আগে কখনও কোনও সন্দেহজন কিছু চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা ।