এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনদের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি সকালে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমেছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা এদিন সাধনবাবুর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সাধন পাণ্ডে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাঁচবার কলকাতার বড়তলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক। বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী সাধনদার সঙ্গে আমার অত্যন্ত হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি আমার অগ্রজকে হারালাম।’

শোক জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি জানিয়েছেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল। তাঁর আত্মীয় পরিজনের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’ তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সাধনদার মৃত্যু কার্যত এক বর্ণময় জীবনের অবসান ঘটালো। তাঁর মতো এত বর্ণময় চরিত্র রাজনীতির ময়দানে বড়ই কম দেখা যায়। সাধনদাই আমাকে নিয়ে গিয়েছিল মমতাদির কাছে। কোনওদিনও হারতে দেখিনি একবার ছাড়া। ২০০১ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করেছেন।’সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘এক অধ্যায়ের অবসান হল। রাজনীতিতে অভিভাবককে হারালাম। বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি। সাধন পাণ্ডে একটা রাজনৈতিক অধ্যায়। যে দফতরের অস্তিত্ব রয়েছে বলে কেউ জানত না সেই ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।’

সাধনবাবুর মৃত্যুতে ধাক্কা খেয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্পষ্ট কথা বলার ক্ষেত্রে কখনওই পিছিয়ে আসত না সাধন। ধরুন ক্যাবিনেট বৈঠক চলছে, আমরা সবাই যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত, সেইসময় সাধন দুম করে একটা কথা বলে দিল। একবারও ভাবল না তাতে মমতা রেগে যাবে কিনা। সাধনের ওই ধরনের কথা শুনে মমতা কখনও কখনও রেগেও যেত। আবার কখনও কখনও প্রশংসাও করত। সুব্রত চলে গেল। সাধনও চলে গেল। মনের মধ্যে একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে। খুব খারাপ লাগছে।’ সাধনবাবুর অসুস্থতার জন্য তাঁর ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী অর্পণ করেছিলেন রাজ্যের অপর মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার হাতে। এদিন সাধনবাবুর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে মানসবাবু জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার দায়িত্ব সাধনদাকে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর কর্মদক্ষতা ও তৎপরতা দিয়ে সেই দফতরকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিলেন। আমি দফতরের কাজ করতে গিয়ে বারবার তাঁর করে যাওয়া কাজের প্রমাণ পেয়েছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মিছিল তৃণমূলের

তীব্র দাবদহে নদীয়ার এঁচোড় দেদার রপ্তানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

সেলিম কাঁটা উপড়ে ফেলে মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর