এই মুহূর্তে




ভেসেছে ঘর, সদ্যোজাতকে নিয়ে নার্সিংহোমেই প্রসূতি, চাঁদা তুলে মেটানো হল বিল

courtesy google

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছে সবকিছু। মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু পর্যন্ত নেই। নার্সিংহোমেই সদ্যোজাতকে নিয়ে ছিলেন প্রসূতি। বিল মেটানোর পরিস্থিতিও নেই। মানবিকতার খাতিরে এগিয়ে এলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, আয়ারা। নিজেদের রোজগার থেকেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রসূতির হাতে তুলে দিলেন তাঁরা। চাঁদা তুলে নার্সিংহোমের বিল মেটানো হয়েছে।

মানবতা যে এখনও শেষ হয়ে যায়নি, ফের প্রমাণ করলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরাই। বন্যায় ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। নার্সিংহোম থেকে বেরিয়ে কোথায় যাবেন সেই চিন্তার পাশাপাশি বিল মেটানোর বিষয়টিও ছিল। কোথা থেকে নার্সিংহোমের বিল দেবেন? ময়নাগুড়ির আমগুড়ি পঞ্চায়েতের বেতগাড়া খাটোরবাড়ির বাসিন্দা বিমল রায় ও কল্পনা রায়। সম্প্রতি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন কল্পনা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সন্তানকে নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না।

নার্সিংহোমের চিকিৎসক, নার্স ও আয়াদের প্রচেষ্টায় মেটানো হয়েছে বিল। এরপরেই স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে ময়নাগুড়ির টেকাটুলি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে আসেন। বাবা মা ও ভাই বোনকে নিয়ে জলঢাকা নদীর বাঁধের ওপরে ত্রাণশিবিরে রয়েছেন। সন্তান ও স্ত্রীকে ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। কতদিন এইভাবে চলবে তা জানেন না। চিঁড়ে মিলে কাজ করে সংসারের দিন গুজরান হত। আগামীদিনে কীভাবে সংসার চলবে, ভেবে পাচ্ছেন না এই দম্পতি। গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তির্ণ এলাকা। তারমধ্যে রয়েছে ময়নাগুড়ির এই পরিবার। জীবনে খুশির সময়েও আনন্দের জোয়ারে ভাসার পরিবর্তে চোখের জলে ভাসছে তাঁরা। পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। তাকে ঠিক মতো স্বাগত জানাতেও পারেনি তাঁরা। এই দুর্দশা কবে কাটবে তা কেউ জানে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৬০০ বছরের নিয়ম ! শুধু প্রদীপের আলোয় পুজো পান মা, কোথায় জানেন?

বনগাঁ পুরসভার পক্ষ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল ডেকরেটর্সদের, কিন্তু কেন…

‘কর্মরত শিক্ষকদেরও টেট পাশ হতে হবে’, নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য

জাতীয় সড়কে ভেঙে পড়ল ব্রিজ,দিঘাগামী পর্যটকদের গাড়ি আটকে রয়েছে ,ব্যাপক যানজট

দামোদর নদী থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

মালদায় সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরি, টোটো চালকের অভিযোগ থানায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ