নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সমস্ত জেলায় ‘রেড রোড’! শুনে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, এমনটাই হবে। রেড রোডে বিসর্জন কার্নিভাল যেমন হয়, ঠিক তেমন ভাবেই হবে জেলাগুলিতেও বিসর্জন কার্নিভাল (CARNIVAL)। আয়োজনে পার্থক্য থাকবে না সামান্যটুকুও। রাজধানীতে বিসর্জন কার্নিভাল আগামী ৮ অক্টোবর। তার একদিন আগেই হবে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে কার্নিভাল। সেই সব শোভাযাত্রা নিছক শোভাযাত্রা নয়। তা হবে রেড রোডের মত মহা আড়ম্বরেই। এবারে ইউনেস্কো’র বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে দুর্গাপুজো। তাই আড়ম্বর- অনুষ্ঠানে চমক দ্বিগুণ।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদার জানিয়েছেন, জেলার পুজো কমিটিগুলি তাঁদের প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করবেন। সেই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলি আয়োজন করেছে শোভাযাত্রা পথেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক বরুন মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তেমনই পুজো আয়োজক সংস্থাগুলিও আয়োজন করেছে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রার সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। রাজ্যের সমস্ত জেলাতে চিত্রটা একই। বিসর্জন কার্নিভালে এই ভাবেই শোভাযাত্রার সঙ্গে এগিয়ে যাবে নাচ, গান, ধুনুচি নাচ, ছৌ নাচের দল। তুলে ধরা হবে পুজো কমিটি এবং জেলার ঐতিহ্য। উপস্থিত থাকবেন জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সকলেই মেতে উঠবেন পুজো শেষের ‘মহোৎসবে’। দেবীকে বিদায় জানানো হবে হাসিমুখেই।
শোভাযাত্রা শেষে হবে বিসর্জন। ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। সাবধানতার সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জনে অংশ নিতে বলা হয়েছে পুজোকমিটিগুলিকে। সেই সঙ্গে পুরসভা জানিয়েছে, বিসর্জনের পরে ওই সমস্ত জলাশয় এবং ঘাট পরিষ্কার করা হবে।
বিভিন্ন পুজো কমিটি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। অপেক্ষা শুধু আজকের দিন পেরানোর। তারপরেই সম্মিলিত ভাবে তুলে ধরা হবে ‘বাংলার ঐতিহ্য’। উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর বিশেষ মর্যাদা উপলক্ষ্যে পুজো শুরুর আগে গত সেপ্টেম্বরেই কার্নিভাল হয়েছিল কল্লোলিনী কলকাতা এবং রাজ্যের সমস্ত জেলায়।