নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের সরকার রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলে আগেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রবিবার দুর্গাপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ৫ ও ৬ জুন রাজ্যের ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলীয় নেতা কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করলেন জোড়াফুল শিবিরের নেতা ও কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান-সহ বহু জেলায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল আয়োজিত হয় এদিন।
রবিবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লার নেতৃত্বে ক্যানিংয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন হয়। সেই মিছিলে বিধায়ক সওকত-সহ হাঁটেন তৃণমূলের ব্লক স্তরের একাধিক নেতা। মিছিল থেকে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা বাজার থেকে সদানন্দের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। এদিন মিছিল থেকে সওকত মোল্লা বলেন , বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেই এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরেও প্রতিবাদ মিছিল করেন জোড়াফুল শিবিরের নেতৃত্ব। নারী পুরুষ নির্বিশেষে বহু তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক এদিন পায়ে হেঁটে মিছিলে সামিল হন। একশো দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার হাওড়াও মিছিল হয়। এদিন সমবায় মন্ত্রী অরুপ রায়ের নেতৃত্বে হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেল থেকে কদমতলা পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়।
উল্লেখ্য পুরুলিয়া জেলা সফরের আগেরদিন অর্থাৎ গত রবিবার দুর্গাপুর থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “বাংলা ১০০ দিনের কাজে প্রথম। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নয়। এখান থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়। এটা আমাদের প্রাপ্য টাকা। এটা নয়, এটা আমাদের দয়া করছে। এই প্রাপ্য টাকা আদায়ের জন্য তৃণমূলের সব শাখা সংগঠন রাস্তায় নামবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংবিধানে নিয়ম আছে, ১০০ দিনের কাজ যারা করবে, তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নোংরা খেলা খেলছে। ৫ মাস ধরে তাঁরা টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষগুলি কাজ করেছে। কিন্তু টাকা পাচ্ছে না।’ এরপরই তৃণমূলের প্রতিটি ব্লক ইউনিটকে ৫ ও ৬ জুন আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী।