এই মুহূর্তে




রামপুরহাট মহকুমা আদালতে বকটুই হত্যাকাণ্ডের চার্জ গঠন

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রামের চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীন অবস্থায় খুন হয়েছিলেন গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। সেই খুনের ঘটনায় একই দলের সমর্থক হয়ে বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর সদস্যদের বাড়িতে চলেছিল ভাঙচুর, লুঠপাট আর অগ্নিসংযোগের তাণ্ডব। আর সেই ঘটনার মাঝেই একটি বাড়িতে বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ১০জনকে। যাদের মধ্যে মাত্র ১জন ছিলেন পুরুষ আর বাকিরা মহিলা ও শিশু। সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার(Birbhum District) রামপুরহাট থানার(Rampurhat PS) বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বকটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড যা বকটুই গণহত্যা(Boktui Massacre) নামেও পরিচিত। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে সিবিআই(CBI) তদন্ত চলছে। কিন্তু মূল ঘটনার প্রায় ২ বছর ৪ মাস পর এদিন অর্থাৎ শুক্রবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে(Rampurhat Sub Division Court) চার্জ গঠন(Framing Charge) করা হল।

জানা গিয়েছে, এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের Fast Track Court-এ আদালতের জেলা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের এজলাসে বকটুই হত্যাকাণ্ডের চার্জ গঠন করা হয়। পাশাপাশি এই মামলায় আগামী ১২ ও ১৩ আগষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রমাণের দিনও ধার্য করেছে আদালত। এদিনের চার্জ গঠনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপশ্রী। ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বগটুই মোড়ে বোমা ও গুলির আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার জেরে সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে বকটুই গ্রাম। অগ্নিসংযোগ করে শিশু ও নারী সহ ১০ জনকে হত্যা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গণহত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই ও পুলিশ। এদের মধ্যে ২জন নাবালক আগেই জামিন পেয়েছে এবং মূল অভিযুক্ত লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে অস্বাভাবিক ভাবে মারা যান। এদিন চার্জ গঠনের সময় তাই বাকি ২৩জনকে অভিযুক্ত হিসাবে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।

কার্যত এই চার্জ গঠনের মধ্যে দিয়েই এদিন থেকে বকটুই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল। এর আগে সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল। সেই চার্জশিট(Charge Sheet) দেখেই এদিন আদালত বকটুই হত্যাকাণ্ডের চার্জ গঠন করেছে। এবার এই চার্জ ধরেই মূল বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। চার্জশিট পেশ ও চার্জ গঠনের মধ্যে ফারাক হল – তদন্তকারী সংস্থা কোনও ঘটনায় তদন্তের পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করে তা আদালতে পেশ করে। আদালত সেই চার্জশিট দেখে ঠিক করে যাদের নামে ও যে যে ধারায় তাঁদের অভিযুক্ত হিসাবে তদন্তকারীরা চিহ্নিত করেছেন সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলবে কী চলবে না এবং কোন কোন ধারাগুলি বজায় রেখে সেই বিচার প্রক্রিয়া চলবে। সেই বিচার্য বিষয়ই হল চার্জ গঠন। তাই চার্জশিতে নাম থাকলেও আদালতে মনে হলে সেখান থেকে কারও নাম যেমন বাদ দিতে পারে তেমনি কারও নাম যুক্তও করতে পারে। আবার যে যে ধারায় কাউকে অভিযুক্ত হিসাবে তুলে ধরে চার্জশিট পেশ করা হয়, চার্জ গঠনের সময় আদালত তা একই রাখতে পারে বা তাতে বদল ঘটাতে পারে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই সল্টলেকের আন্দোলনস্থল থেকে খোলা হল বাঁশ, সরল স্ট্যান্ড ফ্যান

গঙ্গার ঘাটে বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে লরি সমেত প্রতিমা জলে

কৃষ্ণগঞ্জে জলের তোড়ে ভেঙ্গে গেল শিবনিবাসে অস্থায়ী বাঁশের সেতু , বন্ধ নদী পারাপার

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে স্পিডবোট উল্টে জলে পড়লেন জেলাশাসক-সাংসদ

ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলি ও মেদিনীপুর, কেশপুরে ১০ বছরের নাবালকের মৃত্যু

ডিভিসি জল ছাড়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে, প্লাবিত বহু এলাকা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর