এই মুহূর্তে

এবার অ্যাপে ‘রানি শিরোমণি এক্সপ্রেস’, আগের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের দাবিতেই অনড় নিত্য যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার রেল (Rail) অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ‘রানি শিরোমণি এক্সপ্রেস’ নাম। অতএব রানি শিরোমণির (Rani Shiromani) নামাঙ্কিত ট্রেন থাকল। রেলের নয়া মেমোরেণ্ডামে এই নতুন এক্সপ্রেসের (Express) উল্লেখ ছিল আদ্রা- হাওড়া এক্সপ্রেস। প্রায় একই সময়সূচিতে ছিল রানি শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ( Fast Passenger)। ওই সময়েই দেওয়া হয়েছে এক্সপ্রেস। রানির নাম নেই কেন? সেই প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যাত্রীরা। তবে, অ্যাপে দেখা গেল এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম রানির নামেই নামাঙ্কিত। যাত্রীরা তবু চাইছেন ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন। প্রস্তুতি চলছে গণ ডেপুটেশনের।

করোনার সময় থেকে বন্ধ ছিল হাওড়া আদ্রা শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। আপ ৫৮০১৫, ডাউন ৫৮০১৬। পরে অন্যান্য ট্রেন (Train) চললেও আর চালু হয়নি এই ট্রেন।  এই ট্রেন বন্ধ থাকায় তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। অবশেষে চালু হয়েছে হাওড়া- আদ্রা- হাওড়া এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। প্যাসেঞ্জারের জায়গায় এক্সপ্রেস। রেলের মেমোরেন্ডামে উল্লেখ ছিল না  রানির নাম। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক।

উল্লেখ্য, আইনজীবী ও গবেষক তীর্থঙ্কর ভকতের আবেদনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন রানি শিরোমণি ট্রেন। যাত্রীদের অভিযোগ, এই ট্রেন যখন চালু ছিল তখন বেশ কয়েকমাস ট্রেনের নাম ঘোষণার সময় এড়িয়ে যাওয়া হত রানির নাম। ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী রানি শিরোমণি। তাঁর নাম ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে নতুন এই এক্সপ্রেস। আদ্রা- হাওড়া (১৮০০৪) রুটে ট্রেন ছাড়ছে ভোর ৪ টা ৩৫ মিনিটে। পৌঁছাচ্ছে সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে। আবার হাওড়া- আদ্রা (১৮০০৩) ছাড়ছে বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাচ্ছে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে। স্বভাবিক ভাবেই এক্সপ্রেস হওয়ার জন্য বেড়েছে দাম। আর কমছে স্টপেজ। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, এই রুটে প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়া যেত। ফাস্ট প্যাসেঞ্জার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। স্টপেজ কমায় অনেকেরই অসুবিধা হবে। দাম বাড়ার জন্যও ভুগতে হবে যাত্রীদের। ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে টিকিটের মূল্য ছিল, প্রায় ৪০ টাকা। এখন এক্সপ্রেসের জন্য টিকিটের দাম ১০৫। ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের অন্যতম ভরসা ছিল। অনেক স্টপেজে থামত ট্রেন। টাকাও কম লাগত। আর তুলামূলক গতি ছিল ভালোই। এক্সপ্রেসে গতি বেড়েছে ঠিকই। তবে স্টপেজ কমায়, ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের নিত্য যাত্রীরা পড়েছেন অসুবিধায়। আর ট্রেনে যারা উঠছেন, তাঁদের গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা।

অভিযোগ, যখন শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু ছিল তখনও দীর্ঘ মাস রানির নাম ঘোষণা বন্ধ ছিল। এখনও একাধিক স্টেশনে এক্সপ্রেসের নাম ঘোষণার সময় ঘোষণা করা হয় না রানির নাম। এদিকে কেন্দ্র মান্যতা দেয়নি রানি শিরোমণির গড়কে। রাজ্য সেই মান্যতা দিতে চলেছে গড়কে। ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। ইতিহাস প্রিয় মানুষের প্রশ্ন, কেন্দ্র কেন রানি শিরোমণি প্রসঙ্গে উদাসীন? তিনি বঙ্গের রানি ছিলেন বলে না কি আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের রানি ছিলেন বলে? না কি রানির প্রাসাদে হিন্দু-মুসলিম- ওড়িশার মিশ্র স্থাপত্য লক্ষ্য করা যায় বলে? না কি তাঁর অপরাধ তিনি রাজা না হয়ে রানি? তখনকার দিনে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে বলে? প্রশ্ন আরও, না কি রানি শিরোমণিকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে রানি লক্ষ্মীবাঈ-কে আরও উজ্জ্বল করতে? ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতার আন্দোলনে কোনও অ- হিন্দি মহিলাকে স্থান দিতে চায় না কেন্দ্র?  এক্ষেত্রে বলার, রানি শিরোমণি তাঁর সমস্ত কর্মকাণ্ড করে মৃত্যু বরণ করেন  ঝাঁসির রানির জন্মের প্রায় ১৬ বছর আগে। যদিও রানি শিরোমণির প্রয়াণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু না গুপ্তহত্যা তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। দুঃখের কথা, শিরোমণিকে অনেকেই ভুল করে মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ বলে থাকেন কিন্তু কেউ লক্ষ্মীবাঈকে ঝাঁসির শিরোমণি বলেন না। ২ রানিই তাঁদের নিজ কর্মকাণ্ডে ইতিহাসে উজ্জ্বল। ২ টো সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়, তবে এই আচরণ কেন? উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, রেলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনমত আদায় শুরু করেছে রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। দেওয়া হবে গণ ডেপুটেশন। দাবি, ওই রুটে ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করা হক। আরও দাবি, প্রতি স্টেশনে ট্রেন আসা ও যাওয়ার সময় রানির নামাঙ্কিত ট্রেনের ঘোষণা করা হক রানির নাম উল্লেখ করেন। রেল কর্তৃপক্ষ যাই করুক না কেন, জনগণ কিন্তু ট্রেনকে বলছে, ‘রানি শিরোমণি এক্সপ্রেস’। বলতে শোনা যাচ্ছে না আদ্রা- হাওড়া এক্সপ্রেস। তবু তাঁদের দাবি, এই রুটে ফের চালু করা হক রানি শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার।

যদিও সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে এই ট্রেনের নামে ‘রানি শিরোমণি’ উল্লেখ নেই। রয়েছে হাওড়া- আদ্রা- হাওড়া এক্সপ্রেস। তা নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। রেল কর্তৃপক্ষ এই ফেসবুক বিজ্ঞাপন অবশ্য সরায়নি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জাজপুরের দুর্ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শান্তিপুরে রক্ত পরীক্ষা করার ল্যাবের রিপোর্টের প্যাড নকল করার অভিযোগ, এলাকায় চঞ্চল্য

পণের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

ঝাড়গ্রামে প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হাতির দল ডুব দিল জলাশয়ের জলে

মালদার মোথাবাড়িতে নববর্ষের পরের দিন হোলি খেললেন মহিলারা

কান্দিতে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ‘সর্ষে ইলিশ’ চেটেপুটে খেলেন গুজরাতি ইউসুফ পাঠান

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর