এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

২ হাজারে বাইক, ১ লাখে লরি, কিনবেন নাকি…

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাইক(Bike) কেনার খুব ইচ্ছা। কিন্তু পকেটে নেই পয়সা। একদম চিন্তা করবেন না, পকেটে আপনার ২ হাজার টাকা থাকলেই হবে। কিংবা ধরুন অনেক দিন ধরেই একটা লরি(Lorry) কেনার ইচ্ছা আছে আপনার। কিন্তু সেই একই সমস্যা। পকেটে নেই পয়সা। কিন্তু একদম ভাববেন না। ২ লাখ টাকা জোগাড় করতে পারলেই পেয়ে যাবেন আস্ত একটা লরি। আর এই সব কিনতে আপনাকে না বিদেশ যেতে হবে না দেশের অন্য কোনও রাজ্যে যেতে হবে। বাংলার(Bengal) বুকেই পেয়ে যাবেন ২ হাজার টাকার বাইক আর ২ লাখ টাকার লরি। তবে তার জন্য আপনাকে চলে আসতে হবে রানীগঞ্জে(Raniganj)। তা সে ট্রেনে আসুন বা বাসে আসুন কী গাড়ি ভাড়া করেই আসুন। রাজ্যের কয়লা খনি অধ্যুষিত এই এলাকাতেই বিনা চৈত্র সেলেই মিলছে ২ হাজার টাকার বাইক আর ২ লাখের লরি। আর সেই বাইক ও লরি কিনতে নিত্যদিন ভিড় জমাচ্ছেন আমজনতা। কোনও গাঁজাখুড়ি গল্প বলছি না মশাই। একদম খাঁটি সত্যি কথা বলছি। তবে বলে রাখা ভাল, এই সব বাইক আর লরি কিন্তু চোরাই মাল। মানে চুরি যাওয়া জিনিস। 

আরও পড়ুন বিজেপি বিমুখ মতুয়ারা, কাজে দিচ্ছে না সিএএ টোপ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া-হুগলি শিল্পাঞ্চল, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, আসানসোল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বাইক আর লরি চুরির একটা বড় চক্র কাজ করছে। এই সব জায়গা থেকে চুরি যাওয়া বাইক আর লরি বিক্রির জন্য নিয়ে চলে আসা হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার রানীগঞ্জে। সেখানেই চোরাই বাইক আর লরির হাতবদল হচ্ছে সস্তা দরে। যারা কিনতে আসছেন তাঁরা যে শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দা তাই নয়, অনেকেই আসছেন বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা মায় উত্তরপ্রদেশ বা মধ্যপ্রদেশ থেকেও। তবে পুলিশের নজরে এসেছে এই চুরি চক্র। কিন্তু বিক্রির চক্র তাঁরা এখনও বন্ধ করতে পারেননি। কেননা রানীগঞ্জে অভিযান চালালে কিছু দিন সেই কারবার বন্ধ থাকে ঠিকই, কিন্তু কয়েকদিন পরে আবার যেকা সেই অবস্থা। কিন্তু রানীগঞ্জেই কেন? পুলিশের কর্তাদের ধারনা, সবদিকে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় রানিগঞ্জকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। কারণ রানিগঞ্জ থেকে সহজেই চোরাই সামগ্রী উত্তর ভারত, দক্ষিণ ভারত, মধ্য ভারত, উত্তরবঙ্গ মায় দক্ষিণবঙ্গেরও নানা জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া যায়। তাই সে জায়গাটিকেই বেছে নিয়েছে চোরের দল।

আরও পড়ুন বিজেপির ১৩ বিধায়ক ও ৬ সাংসদ যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে

রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী এই চক্র ফাঁস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। অনেকে ধরা পড়েছে, অনেক বাইক ও লরি উদ্ধারও হয়েছে। কিন্তু মাস্টারমাইন্ডদের ধারেকাছেও এখনও পৌঁছাতে পারেননি পুলিশ বা গোয়েন্দা কর্তারা। তাঁদের ধারনা এই চক্রের পিছনে কয়লা মাফিয়ারা(Coal Mafia) জড়িত। কার্যত তাঁদের ইশারাতেই এই বাইক ও লরি চুরির চক্র চলছে রাজ্যের মধ্যে। গোয়েন্দা আধিকারিকদের এমনটাও ধারনা এই চক্র আগে কয়লা ও গরু পাচার চক্রের কাজও করত। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই(CBI), এনআইএ, ইডি একযোগে ওই দুটি পাচার চক্রের পিছনে পড়ে থাকায় চোরের দল সেই পাচারের কাজ থেকে সরে এসেছে। যেহেতু তাদের চুরি করা ও পাচার করার পরিকাঠামো আগের মতোই মজুত রয়েছে তাই সেটাকে কাজে লাগিয়েই এখন তারা বাইক আর লরি চুরি তথা তা বিক্রি করার কাজে নেমে পড়েছে। মজার কথা সেই সব লরি ও বাইক দিব্যি রাজ্যের নানা প্রান্তে তো বটেই, ভিন রাজ্যেও পাড়ি জমাতে খুব একটা অসুবিধার মুখে পড়ছে না। কেননা রাস্তায় রাস্তায় আছে দালালরা। তাঁরাই সব কিছু নির্বিঘ্নে পার করে দিচ্ছে। সেখানে যেখানে কমিশন পৌঁছে দেওয়ার কথা সেখানে সেখানে পেটি পেটি টাকা পৌঁছেও যাচ্ছে। তাই আর কি, আপনার বাইক কেনার ইচ্ছা থাকলে আর পকেটে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা থাকলে চলে আসুন রানীগঞ্জে। কিনে নিন KTM, Bajaj, Honda, Royal Enfield, Hero’র মতো দেশি-বিদেশী কোম্পানীর বাইক।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মিছিল তৃণমূলের

তীব্র দাবদহে নদীয়ার এঁচোড় দেদার রপ্তানি হচ্ছে ভিন রাজ্যে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

সেলিম কাঁটা উপড়ে ফেলে মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর