এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রেকর্ড ব্যবসা বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৭০ লক্ষেরও বেশি মহিলাদের, ২০ হাজার কোটিরও বেশি

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের হাত ধরে এক রেকর্ড গড়ে দিলেন বাংলার(Bengal) স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সরকারি তথ্য বলছে চলতি অর্থবর্ষ(Current Financial Year) অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাংলার ৭০ লক্ষেরও বেশি মহিলা(More then 70 Lakhs Women) তাঁদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(Self Help Groups) মাধ্যমে ২০ হাজার কোটিরও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছেন। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হরে আরও দেড় দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তাই রাজ্যের আধিকারিকদের ধারনা এই অল্প সময়ের মধ্যেও বিকিকিনির পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়বে। অর্থবর্ষের শেষে যদি দেখা যায় ব্যবসার(Business) পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে থাকছে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সব থেকে উল্লেখ যোগ্য বিষয়, এই ২০ বা ২৩ হাজার কোটি(23 Thousand Crores Rupees) টাকার ব্যবসা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কিন্তু করেছেন ঋণ নিয়ে। আর সেই ঋণও তাঁরা শোধ করেছেন সময়মতো। দিয়েছেন সুদও। এর নেপথ্য কিন্তু কাজ করে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা এবং মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলার অদম্য ইচ্ছা।  

বস্তুত ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরে পরে মমতা লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন বাংলার মহিলাদের, বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড় করাবার। তাঁদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলায়। তাঁদের হাতে আর্থিক ক্ষমতায়ণের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষমতায়ণের রাজদন্ড তুলে দেওয়ার। সেই লক্ষ্যই তিনি এবং তাঁর সরকার গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরলক কাজ করে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন গ্রাম বাংলার বুকে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়াতে, সেই সব গোষ্ঠী যাতে ব্যাঙ্ক থেকে যথাযথ ভাবে ঋণ পায় তার ব্যবস্থা করে দিতে, গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য যাতে বিক্রির নাজার পেয়ে যায় সেই ব্যবস্থা করতে এবং ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ যাতে সময় মতো সুদ সহ ফেরত দেওয়া হয়ে তা দেখতে। এই ৪টি ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাংলার স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীগুলিকে এখন ঋণ দিতে পিছুপা হয়না কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক। কেননা তাঁরা জেনে গিয়েছেন, বুঝে গিয়েছেন, টাকা নিশ্চিত ভাবে ফেরত আসবে সময়ের মধ্যেই সুদ সহ।  

আসলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছিলেন গ্রাম বাংলার বুকে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গ্রামের মহিলারাই সফল হবেন। গ্রামের মহিলারা যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন এবং স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তার জন্য রাজ্যের একাধিক দফতর নিরলস ভাবে কাজ করে গিয়েছে এই ১২ বছরে। কত সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে, তা বছরের শুরুতে নির্ধারণ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ West Bengal State Rural Livelihood Mission। প্রতি বছর একটু একটু করে সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি গোষ্ঠীতে মহিলাদের যোগদানও বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছে প্রতি বছর। এই বছর তো রীতিমত রেকর্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের শুরুতেই ঠিক করা হয়েছিল বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে একাধিক সরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পরে। সেই ঋণ পান বাংলার প্রায় ৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলার ৭০ লক্ষেরও বেশি মহিলা চলতি অর্থবর্ষে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করে ফেলেছেন। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই সরকারি পোর্টালে উঠেও গিয়েছে। যেহেতু এখনও চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে দেড়-দুই সপ্তাহ বাকি আছে তাই মনে হচ্ছে আরও অন্তত ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়বে ব্যবসার পরিমাণ। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়াবে ২২ থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা। জেলাওয়াড়ি হিসেব, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৩০০ কোটির বেশি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন মহিলারা। এই জেলায় একেক গোষ্ঠী পিছু গড়ে ৪ লক্ষ টাকা করে ঋণ নেওয়া হয়েছে। টাকার অঙ্কে এই জেলা শীর্ষে রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা ব্যবসা করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া, বীরভূম জেলাও খুব একটা পিছিয়ে নেই।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর