নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়াবহ একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা এলাকা। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছরের কিশোরীর গলায় ধারালো ছুরি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করল বছর ৪২-এর এক যুবক। প্রাণে বেঁচে গেলেও গলায় বেশ গভীরভাবে জখম হয়েছে বছর আসমা খাতুন নামে ও মেয়েটি। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। সেই সঙ্গে তাঁর হাতে পায়েও চোট রয়েছে।
এই ঘটনার জেরে সকাল থেকেই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পিংলা থানার ৬ নম্বর ক্ষীরাই অঞ্চলের জোড়াবাঁধ এলাকায়। অভিযুক্ত মুস্তাফা খান পলাতক। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান অভিযুক্ত মুস্তাফাকে গ্রেফতার না করতে পারায় স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, জোড়াবাঁধের বাসিন্দা শেখ আনসার আলির মেয়ে আসমা খাতুন বুধবার রাতে বাড়ির কাছে সার্কাস দেখতে যায়। আর সার্কাস দেখে একা বাড়ি ফিরছিল সে। তখনই ওই তাঁর ওপর চড়াও হয় মুস্তাফা। বছর ৪২-এর এই বিবাহিত যুবক বারংবার ২৬ বছরের ছোট আসমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে কিশোরী কিছুতেই মুস্তাফার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। শেষ মেশ রাগের বশে নাবালিকার ওপর ছুরি চালিয়ে দেয় ওই যুবক। রক্তার্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায় নাবালিকা কিশোরী। এরপরই এলাকা থেকে চম্পট দেয় মুস্তাফা।