নিজস্ব প্রতিনিধি: চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন রেনু খাতুন। একই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার সুবিধার জন্য দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। চাকরির নিয়োগপত্র তাঁর হাতে পৌঁছে দিতে এদিন দুর্গাপুরে হাসপাতালে যান পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ এবং পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়। চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে হাসপাতালের বেডে বসেই এদিন আবারও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেনু খাতুন। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। রেনু জানান, নিয়োগপত্র পেয়ে খুবই খুশি হলাম। এখন অনেকটা ভালো আছি। নিয়োগপত্র পেয়ে আরও সুস্থ হলাম।
উল্লেখ্য রেনু খাতুনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন। যেহেতু তাঁর ডান হাতের কবজি কেটে গিয়েছে, তাই তাঁর কাজের ধরণ হবে ভিন্ন। কিন্তু বেতন কাঠামো থাকবে একই। মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছিলেন রেণুর কেটে যাওয়া ডান হাত কৃত্রিমভাবে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা মত এদিন তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রশাসনিক কর্তারা। তার হাতের চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
গত শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা পেশায় নার্স রেণু খাতুনের ডান হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী শেখ মহম্মদের বিরুদ্ধে। নার্সিং পরীক্ষার প্যানেলের ২২ নম্বরে নাম ছিল রেণু খাতুনের। কিন্তু স্ত্রীর সরকারি নার্সের চাকরি পছন্দ হয়নি স্বামীর। রেনু যাতে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে না পারে সেই কারনে ঘুমন্ত অবস্থায় সুপারি দিয়ে তার হাত কেটে নেয় স্বামী। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে আগেই। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রেনুর স্বামীর দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর এই ঘটনায় শুক্রবার চাঁদ মহম্মদ নামে আরও এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।