নিজস্ব প্রতিনিধি : নদী আছে। কিন্তু নদীতে জল নেই। প্রখর দাবদহে শুকিয়ে গিয়েছে ইছামতীর শাখানদী ডাঁসা। ডাঁসা নদী এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। এই বালুচর দিয়েই সাইকেল, বাইক নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে বসিরহাটের হাসনাবাদ ব্লক এলাকার বাসিন্দাদের।
বসিরহাটের সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লকের ভবানীপুর এলাকায় লক্ষাধিক মানুষের বাস। শোনা যায়, ব্রিটিশ আমলে হাসনাবাদ থেকে ভবানীপুর যাওয়ার জন্য ইছামতী এবং ডাঁসা নদীর মধ্যে খাল কাটা হয়েছিল। বিদ্যাধরী, ডাঁসা, বেতনি এবং কাঠাখালি এই চার নদী দিয়ে ঘেরা ভবানীপুর দ্বীপ। ওই দ্বীপের এক প্রান্তে শুলকুনি ফেরিঘাট। সেখান থেকে বেদেমারি, ভোলাখালি এবং পারভবানীপুর ফেরিঘাট থেকে মডেলবাজার, সন্দেশখালির কালীনগরে যাওয়া যায়।। গাছ কাটা, নদীর গতিপথ রুখে দিয়ে অসৎ উপায় ব্যবসা চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর সেকারণে নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় পায়ে হেঁটে পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা নদীর ওপরে ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর কোনও সুরাহা হয়নি। এলাকার এক বাসিন্দা শমীক দাস জানান, এটা গ্রীষ্ম-বর্ষা নয়। বারো মাসেরই সমস্যা। নদী পার হতে আমাদের এক ঘণ্টার মতো লেগে যায়। নদী শুকিয়ে গেলে বাঁশের শাকো দিয়ে পার করতে হয়। আবার কখনও নদীর জল বেশি থাকলে নৌকা দিয়ে পারপার করতে হবে। তবে অনেকসময় নৌকা থাকে না। তখন সমস্যা হয়। এই প্রসঙ্গে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি এসকেন্দার গাজি জানান, মজে যাওয়া নদীর গভীরতা বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে। নদী পাড় বরাবর ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো প্রয়োজন। বিষয়টি সেচ দফতরকে বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।