নিজস্ব প্রতিনিধি: ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন কর্বিভ্যাক্স দেওয়া শুরু হয়েছে রাজ্যে। শহর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে টিকাকরণ। পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার প্রথম দিনে বিতর্ক তৈরি হল জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে। অভিযোগ, টিকাকরণের পর পড়ুয়াদের হাতে স্কুলের সিল মোহরের ছাপ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের এমন ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অবশেষে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সিলমোহর ছাপ দেওয়া বন্ধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের কর্বিভ্যাক্স দেওয়া শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয় ও সোনাউল্লা বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাক্সিন দিয়ে এই টিকাকরণের কাজ শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভা। এদিন ভ্যাকসিন দেওয়ার পর পড়ুয়াদের হাতে সিলমোহর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল ও ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ও তাদের হস্তক্ষেপে সিল মোহর লাগানো বন্ধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা ৬৭ হাজার শিশুকে এই কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলার প্রতিটি ব্লকে সোমবার থেকে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিনে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা সাহা এ বিষয়ে জানান, পৌরসভার নির্দেশেই ছাত্রীদের হাতে সিলমোহর মারা হচ্ছিল। তবে কিছুক্ষণ আগেই জেলা শাসকের অফিস থেকে একটি নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে কোনো শিশুর হাতে সিল মোহর ছাপ লাগানো যাবেনা। তাই আমরা সিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।