নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Election) আবহে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Para Military Force)। ভারী বুটের আওয়াজে কেঁপে উঠতে চলেছে গ্রাম বাংলা(Rural Bengal)। এখনও পর্যন্ত বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেই ২২ কোম্পানি চেয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে(Central Para Military Force) চিঠি পাঠিয়েছিল। গতকাল আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল রাতে অমিত শাহের(Amit Shah) কেন্দ্রীয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মাত্র ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী বাংলায় পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। একই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, এত বাহিনী একসঙ্গে পাঠানো সম্ভব নয়। একাধিক দফায় ভোট করানো হোক। আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতে নতুন করে মামলা দায়ের করতে চলেছেন ৮২২ কোম্পানির থেকেও বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠে এসেছে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কোথায়? তাহলে কী আবারও একদফা স্কুল(Schools) বন্ধ হতে চলেছেন গ্রাম বাংলার বুকে?
আরও পড়ুন ভোট আবহেই স্কুলশিক্ষকদের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ রাজ্যের
বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে শাহি মন্ত্রক ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে থাকছে ৬০ কোম্পানি BSF, ৫০ কোম্পানি CRPF, ২৫ কোম্পানি SSB, ২৫ কোম্পানি CISF, ২০ কোম্পানি ITBP ও ২০ কোম্পানি RPF। সব মিলিয়ে Central Armed Police Force থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২টি রাজ্য থেকে Special Armed Police Force থাকবে ১১৫ কোম্পানি। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেখানে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠালো সেখানে কেন ৩৩৭ কোম্পানির বিজ্ঞপতি শাহি মন্ত্রক জারি করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। যদি ধরেও নেওয়াও যায় ভোটের আগে কেন্দ্র বাকি বাহিনী পাঠাবে তাহলেও প্রশ্ন থাকছে এই বিপুল বাহিনী কোথায় থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে এক একটি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ১৩৫জন করে জওয়ান থাকে। যদিও এদের সবাই মাঠে নামেন না। কিন্তু ৮২২ কোম্পানিতে যে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭০জন জওয়ান থাকবেন তাঁদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কোথায় হবে?
আরও পড়ুন ‘বেশি স্মার্ট হতে যেও না’, কাকে বললেন মমতা
এর আগে বাংলায় যতবার কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল প্রতিবারই তাঁদের রাখা হয়েছিল নানান স্কুলে। এবারেও গ্রাম বাংলায় সেটাই করা হবে। তার জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে নাকি খোলা থাকবে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে ৮ জুলাই যেহেতু ভোটগ্রহণের দিন, তাই তার আগে ৭ জুলাই থেকেই স্কুলে ছুটি থাকবে। ১০ জুলাইয়ের আগে স্কুল না খোলার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু এখন অনেক স্কুল শিক্ষকই মনে করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্কুলে রাখতে হলে স্কুল ছুটি দেওয়া ব্যতীত সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে খুব কম করেও গ্রাম বাংলার স্কুলগুলিতে ২ সপ্তাহের ছুটি দিতে হবে। যদিও রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর এখনই এই নিয়ে কিছু জানায়নি।