নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার এগরার(Egra) খাদিকুল(Khadikul) গ্রামে বাজি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে(Blast) কম করেও ৩ জনের মৃত্যু হল মঙ্গলবার দুপুরে। সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা জানানো না হলেও এলাকাবাসীর দাবি, খুব কম করেও ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মৃতদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ৩০০ মিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ধসে গিয়েছে কারখানার একটা বড় অংশই। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় ৪জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য কিছু দিন আগেই এই জেলাতেই পটাশপুরে(Patashpur) একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে ৩জন মারা যান। এবারেও দেখা যাচ্ছে খাদিকুলে ৩জনের মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন One Nation, One Station, কর্ণাটকের ধাক্কায় বদলাচ্ছে নীতি
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খাদিকুল গ্রামে বেশ কয়েকটি বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। যদিও সেগুলি বৈধ কিনা তার হিসাব কারও কাছেই নেই। এদিন সেই রকমই একটি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গৃহস্থ বাড়ির মধ্যেই এই কারখানা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সময় কারখানায় বেশ কিছু শ্রমিক কাজ করছিলেন। সেই সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। গ্রামবাসীরা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন রাস্তার ওপর থেকে শুরু করে কারখানার আশেপাশে বেশ কিছু ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে রয়েছে। একইসঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা বাড়ি। গ্রামবাসীরাই ঘটনার জেরে খবর দেন পুলিশ ও দমকলে। আগুন নেভাতে দমকল কর্মীরা এলেও ততক্ষণে গোটা বাড়ি জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধুই বাড়ির কাঠামোটি। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, কারখানাটি অবৈধ ভাবে চলছিল। গ্রামে এই রকম আরও বেশ কিছু কারখানা আছে। সেই সব কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বার বার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন চোখ বুজেই থেকেছে।
আরও পড়ুন জুন-জুলাই মাসে জোড়া Zero Shadow পেতে চলেছে কলকাতা
গ্রামবাসীদের দাবি, এই বাজি কারখানায় যারা কাজ করত তাঁরা কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নয়। আবার একই লোক সেখানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করত না। তাই বিস্ফোরণের সময় কে কে সেখানে ছিল তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তাই মনে করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, জনবসতি এলাকায় এভাবে কেন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বাজি কারখানা চলার পরেও কেন স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করল না? পুলিশ থেকে প্রশাসন কেন হাত গুটিয়ে বসে ছিল এতদিন? সেই সব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনই মিলছে না। গ্রামবাসীদের দাবি খুব কম করেও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে।