নিজস্ব প্রতিনিধি: কেউ বলছেন কপালের জোর। কেউ বলছেন নিছকই বেঁচে যাওয়া। কিন্তু সিংহভাগের দাবি, এ মায়ের লীলাখেলা। তিনি যে সেবকের(Sevok) অধিশ্বরী, সেটাই তিনি আবারও দেখিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনি চাইলে কাউকে মারতেও পারেন, বাঁচাতেও পারেন। তাই অতিবড় দুর্ঘটনাতেও প্রাণে মারা গেলেন না কেউ। দার্জিলিং(Darjeeling) জেলার সুবিখ্যাত সেবক ব্রিজের কাছেই তিস্তা নদীর ধারে পাহাড়ের এক গুহায় রয়েছে সেবকেশ্বরী কালী মন্দির(Sebakeshari Kali Mandir)। প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত আসেন এখানে পুজো দিতে। রবিবারও এক ভক্ত এসেছিলেন পুজো দিতে। কিন্তু ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ির ওপর ধসে পড়ে বড় পাথরের চাঙড়। আর সেই কয়েকশো টন পাথরের ধাক্কায় খেলনার মতো উল্টে যায় চার চাকার গাড়ি। ভাগ্যবলে কেউ হতাহত হননি। আর এটাই সবাই সেবকেশ্বরী মায়ের লীলাখেলা বলেই দেখছেন সকলে।
উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে বর্ষা। শনিবার দিনভর ঝরেছে বৃষ্টি। আর পাহাড়ের এই বৃষ্টির জেরে ধস নামা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিবছরই বর্ষার সময় পাহাড়ে ছোট বড় ধস নামে। প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটে। সেবকও এখন রীতিমত ধস প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। অথচ এই পাহাড়ের কোল দিয়েই উঠেছে জাতীয় সড়ক যা সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ রেখে চলেছে। আবার ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ রেখে চলেছে। সেই রাস্তার ধারেই সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরে রবিবার বেলার দিকে পুজো দিতে এসেছিল একটি পরিবার। চালক গাড়িটি পার্ক করে কালীমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই গাড়ির ওপর এসে পড়ে একটি বিশাল পাথরের চাঁই। যার জেরে খেলনার মতো উল্টে যায় গাড়িটি। সামনের কাচ ভেঙে যাওয়া থেকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি।
বেলা ১১টা নাগাদঘটনা এই দুর্ঘটনার(Accident) সময় গাড়িতে কেউ না থাকায় প্রাণহাণীর ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে যেই দেখছেন, বা শুনছেন এই ঘটনাকে সেই একে সেবকেশ্বরী মায়ের লীলাখেলা বলেই মানছেন। সকলের একতাই দাবি, কয়েক মিনিট আগে পরে করে এই পাথর এসে পড়লেই অনেকেই মারা যেতে পারতেন। মা সেসব হতে দেননি। ভক্তদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন। সন্তানদের বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন তিনি। গাড়িটি রাস্তার ওপর উল্টে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। যদিও খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছায় সেবক ফাঁড়ির পুলিশ। তাঁরা ক্রেন এনে গাড়িটিকে দ্রুত রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।