নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিকারী গড়ে পা রেখেই আমজনতার কাছ থেকে তাঁদের সম্পর্কেই বিস্ফোরক অভিযোগ পেয়ে গেলেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। হাতের কাছে তাঁকে পেয়ে ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত গ্রামবাসীরা জানিয়ে দিলেন, ‘আপনার মতো কেউ এসে আমাদের কথা শোনেনি।‘ অভিষেক যখন শিশির অধিকারী(Sishir Adhikari) ও শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নাম নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তাঁরা ওই এলাকায় এসে ঘুরে দেখেছেন কিনা বা সাধারন মানুষের অভাব অভিযোগ শুনেছেন কিনা তখন গ্রামবাসীরাই সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা তাঁদের ছবি দেখেছি। কিন্তু এখানে কোনওদিন কেউ আসেননি ওনারা। আপনি এসেছেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো এখানে কেউ আসেনি। আমাদের কথা কেউ শোনে না।’ অধিকারীদের গড় কাঁথির মরিষদায় তখন অভিষেক আর ক্ষুব্ধ বঞ্চিত গ্রামবাসীকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন মহেশতলার দুর্ঘটনায় আহত অন্বেষার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন অভিষেক
শনিবার কাঁথির(Contai) প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে রয়েছে অভিষেকের সভা। সেই সভায় যাওয়ার পথেই হঠাৎ মরিষদা(Marishda) এলাকায় নিজের কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেমে নেমে আমজনতার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অভিষেক। আর তখনই জানতে পারেন কী অশেষ দুরাবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই এলেকার মানুষেরা। হাতের কাছে অভিষেককে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। বাড়ি ভেঙে গিয়েছে আম্ফানের দাপটে, অথচ ক্ষতিপূরণ কিছু পাননি। বার বার বাংলার বাড়ির জন্য আবেদন জানিয়েও কিছুই পাননি। গ্রামে ৮০টি পরিবারের বাস। অথচ সেখানে একটিমাত্র টিবওয়েল। খাবার জলের নিদারুণ অভাব। এসবই ধৈর্য্য ধরে দাঁড়িয়ে শোনেন তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী নেতা। গ্রামবাসীরা, বিশেষত মহিলারা, হাতের কাছে তাঁকে পেয়ে তাঁকে বাড়ি, রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থার জন্য আর্জি জানান। তাঁদের সকলকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমি দেখে গেলাম। যা করার আমি করব। আমি যখন তখন চলে আসব। এক কাপ চা খেয়ে যাব।’ সে কথা শুনে আরও খুশি হন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অধিকারীদের গড়ে অধিকারীদের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ যে ভেসে উঠবে সেটা সম্ভবত তৃণমূলের কোনও নেতাই ভাবেননি।