নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন শহরের অধিকাংশ কাউন্সিলররা। পুরনির্বাচনের সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কেটে যায়নি। শহরের পুরবোর্ডও নতুন করে ২৪ ঘন্টা আগেই গঠিত হয়েছে। অথচ দোলের আগের দিন রাতেই কিনা সেই পুরবোর্ডের উপপুরপ্রধানের(Vice Chairman) বাড়িতে ঘটে গেল কিনা যথেচ্ছ বোমাবাজির ঘটনা। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে(Birbhum)। কেননা এই জেলারই ৫টি পুরসভাতেই সাম্প্রতিক কালে কার্যত যুদ্ধেই তৃণমূল(TMC) জিতে গিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কার এমন সাহস হল অনুব্রত মণ্ডলের ছত্রছায়ায় থাকা জেলার সদর শহর সিউড়ির(Suri) উপপুরপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি করার সেই প্রশ্নটাই বড় হয়ে উঠে এসেছে। বৃহষ্পতিবার মাঝ রাত সিউড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রক্ষাকালীতলায় স্থানীয় কাউন্সিলর তথা সিউড়ি পুরসভার(Municipality) নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বিদ্যাসাগর সাঁওয়ের বাড়িতে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন বিদ্যাসাগরবাবু। রাত ১২টা নাগাদ তাঁরা যখন শুতে যাওয়ার তোড়জোড় করছেন ঠিক তখনই বাইকে চেপে কয়েকজন যুবক এসে তাঁর বাড়ির সামনে যথেচ্ছ বোমাবাজি করে। বোমা মারা হয়ে বাড়ি লক্ষ্য করেও। তার জেরে বিদ্যাসাগরবাবুর বাড়ির একাধিক দরজা, জানলা, ব্যালকনি, কার্ণিসের কাঁচ ভেঙে যায়। বাড়ির পাশে থাকা সিসিটিভিতে সেই বোমাবাজির দৃশ্য ধরাও পড়েছে। ভয়ের চোটে প্রথমে বিদ্যাসাগরবাবুর বাড়ির কেউ বাইরে পাই রাখতে পারেননি। তাই যারা বোমা মেরেছিল তাঁদের পরিচয়ও সামনে আসেনি। বোমাবাজির জেরে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি বাড়ির ভেতরে থাকা একাধিক সামগ্রীও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাতেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে। রাতেই ঘটনাস্থলে যান বীরভূম জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিক। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ঘটনার জেরে বিদ্যাসাগর সাঁও বলেন, ‘এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা তো কারোর মুখ দেখতে পাইনি। সেভাবে কারোর নাম নেওয়া যাবে না। সন্দেহের বশে কাউকে দোষও দেওয়া যাবে না। তবে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ দোষীদের খুঁজে বার করুক।’ বিদ্যাসাগরবাবুর ছেলে বিক্রমজিৎ সাঁও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। তিনিও ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রায় ১৫-২০টি বোমা ছোঁড়া হয়েছে। আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছি না। তবে এইটুকু বলতে পারি এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।’