এই মুহূর্তে




মল্লভূমের মাটিতে রাশ টানা যাচ্ছে না কিশোরী প্রসূতির হারে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম জমানায় গ্রাম বাংলার বুকে তো বটেই, শহরের বুকেও মেয়েদের স্কুল থেকে ড্রপআউটের(School Dropout of Girls) হার ছিল বেশ উর্ধ্বগামী। পরিবর্তনের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজসাথী ও কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে সেই মেয়েদের স্কুল ছাড়ার ঘটনা অনেকটাই ঠেকাতে পেরেছেন। কিন্তু যে ছবিটা বদলানো যাচ্ছে না তা হল রাজ্যে কিশোরী প্রসূতির(Adolescent Pregnancy) হারে। এর প্রভাব যেমন জনসংখ্যায় পড়ছে, তেমনি বাড়ছে মাতৃমৃত্যুও। সারা রাজ্যের মধ্যে আবার এই ছবিটা সব থেকে বেশি উদ্বেগ মল্লভূম বাঁকুড়ার(Bankura) বুকে। অন্তত এমনই তথ্য উঠে এসেছে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের(District Health Department) রিপোর্টে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩.৪ শতাংশ। বাঁকুড়া জেলায় তা ১২.৬৪ শতাংশ। এক জন মহিলাপিছু গড় সন্তান রাজ্যে ১.৯৬। বাঁকুড়ায় তা ১.২৪। কিশোরী প্রসূতির হার রাজ্যে ১৭ শতাংশ হলেও বাঁকুড়ায় তা রয়েছে ১৬ শতাংশে। পাশাপাশি, পরিবার পরিকল্পনার অভাবে মাতৃমৃত্যুর হার রাজ্যে প্রতি লক্ষে ১০৩। বাঁকুড়ায় তা ৯৯। কিন্তু রাশ টানা যাচ্ছে না কিশোরী প্রসূতির হারে।

আপেক্ষিক ভাবে বাঁকুড়া জেলার পরিস্থিতি রাজ্যের তুলনায় ভাল হলেও তা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়, মত জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকে মাতৃমৃত্যু, কিশোরী প্রসূতি ও মহিলাপিছু গড় সন্তান—সবই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষ করে, কিশোরী প্রসূতির হার না কমায় বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি সিএমওএইচ(৩) সজল বিশ্বাসের দাবি, ‘জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মাতৃমৃত্যুর হার ঠেকাতে কিশোরী প্রসূতির হার অনেকটাই কমিয়ে আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা জোরদার ভাবে জনসংযোগ ও সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছি।’ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় পোর্টাল, ইউডাইস-এর তথ্যে দাবি করা হয়, লকডাউন পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া জেলায় ১৫.৭ শতাংশ পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে। পরের বছরই জেলায় নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে দেখা গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জেলা জুড়ে প্রচুর নাবালিকা বিয়ে ঘটেছে। তারই ফল হঠাৎ করে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যাবৃদ্ধি।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই লকডাউন পর্ব পার হয়ে গেলেও নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা জেলায় এখনও সেভাবে কমেনি। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের একটি সূত্রে দাবি, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৯৬টি নাবালিকা বিয়ে রোখা গিয়েছে। তবে এর বাইরে যে অনেক বিয়ে রোখা যায়নি, নিচুতলায় খবর নিলে সেই তথ্য মিলছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নাবালিকাদের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা বহু আশাকর্মীর নজরে উঠে আসছে। বিভিন্ন থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের করছেন অভিভাবকেরা। জেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্কুলে নাবালিকা বিয়ে রুখতে নানা সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে। ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পও চলছে। পরিস্থিতি শুধরোতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে নানা সচেতনতা কর্মসূচি নিয়েছে বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলা। বিশেষ করে কুড়ি বছর বয়সের পরে প্রথম সন্তান নেওয়া, দ্বিতীয় সন্তান ধারণে অন্তত তিন বছরের ব্যবধান রাখার মতো বিষয়গুলি প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে স্পিডবোট উল্টে জলে পড়লেন জেলাশাসক-সাংসদ

ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলি ও মেদিনীপুর, কেশপুরে ১০ বছরের নাবালকের মৃত্যু

ডিভিসি জল ছাড়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে, প্লাবিত বহু এলাকা

সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিদর্শন পুলিশ সুপারের

মহারাষ্ট্রে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্য মৃত্যু

পাঁশকুড়াতে কাঁসাই নদীর জল বেড়ে বাঁধ ভেঙে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ছে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর