নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকল্পের মূল পরিকল্পনা করেছিলেন দেশের পূর্বতন রেলমন্ত্রী এ বি এ গনি খান চৌধুরী। সেই পরিকল্পনামাফিক প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল, সাঁতরাগাছি থেকে আমতা হয়ে বাগনান পর্যন্ত। সবটাই হাওড়া জেলার(Howrah District) মধ্যে। এর মধ্যে সাঁতরাগাছি থেকে আমতা পর্যন্ত রেল প্রকল্প গড়ে উঠতে এবং তা চালু হয়ে যেতে দেশের আরেক রেলমন্ত্রী যিনি এখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, পূর্বতন প্রকল্প আমতা পর্যন্তই থাকবে। পরিবর্তে বাগনান থেকে আমতা নতুন রেল প্রকল্প(Aamta Bagnan Rail Project) গড়ে উঠবে। সেই ঘোষণামাফিক ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমতায় এই রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। কিন্তু তারপর ১৪ বছর কেটে গেলেও কাজ আর সেভাবে কিছু হয়নি। এখন যখন লোকসভা নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন, ফের মাথাচাড়া দিয়েছে আমতা-বাগনান রেলপ্রকল্প।
আমতা-বাগনান রেলপ্রকল্পের দৈর্ঘ্য অবশ্য বেশি ছিল না। মাত্র ১৬কিমি। প্রকল্প গড়তে প্রয়োজন ১৬৮ একর জমি। সেই জমিতেই গড়ে ওঠার কথা ১টি মাত্র হল্ট স্টেশন হারোপ আর ৩টি বড় সেতু এবং ১৫টি ছোট সেতুর। ২০১০ সালে এই প্রকল্প গড়ে তুলতে খরচ ধরা হয় ১০৩ কোটি টাকা। রেল বোর্ড মোট ১৯৪ কোটি টাকা অনুমোদন করে। সেই টাকাতেই কিছুটা কাজ হয়। কী কী কাজ হয়েছে? বাগনান স্টেশনে রেলের নিজের জমিতে কিছুটা মোরাম ফেলার কাজ হয়। বাগনানেই দামোদরে একটি সেতু তৈরির জন্য ৮টি স্তম্ভও গড়া হয়।
তারপর ২০১২ সাল থেকেই প্রকল্পের সব কাজ থমকে রয়েছে। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে এই প্রকল্পের জন্য ১৬৮ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। ঠিক হয়, জমিদাতাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াও পরিবার পিছু একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীকালে না জমি নিয়েছে রেল, না এগিয়েছে প্রকল্পের কোনও কাজ। এখন যখন বিভিন্ন দলের ভোটপ্রার্থীরা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট চাইচতে আসছেন, তখন আমতার অনেক মানুষই তাঁদের এই রেলপ্রকল্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।