নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গে বর্ষা পা রাখলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তার দেখা মেলেনি। কার্যত নিত্যদিনই দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের ভ্যবসা গরমের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঘটছে সান স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিল দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা বাদে রাজ্যের সব জেলার প্রতিটি স্কুলে আরও ১১ দিন অতিরিক্ত গরমের ছুটি(Summer Vacation) থাকবে। ২৭ জুন ওই সব স্কুল ফের খুলবে। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত যাতে রাজ্যের সব আইসিএসই ও সিবিএসই স্কুলেও মানা হয় তার জন্য কেন্দ্র সরকার পরিচালিত ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকেও আর্জি জানানো হয়েছে।
এত দিন ১৫ জুন পর্যন্ত সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে(School) গরমের ছুটি ছিল। সেই ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ানো হল। এপ্রিলের শেষে প্রচণ্ড গরম পড়ায় গরমের ছুটি ১৫ মে থেকে এগিয়ে এনে শুরু হয় ২ মে। ছুটি দেওয়া হয় টানা ৪৫ দিন। তা নিয়ে আবার অভিভাবকেরা বেশ আপত্তি জানিয়েছিলেন। কেননা তাঁদের দাবি ছিল, লকডাউন ও কোভিডের জেরে টানা দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল। তাই এখন গরমের জন্য লম্বা টানা ছুটি না দিয়ে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ আগে ফিরিয়ে আনা হোক। যদিও সেই দাবি মানেনি রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে এখনও পা না রাখায় এখানে ভ্যাবসা গরমে সান স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। এই অবস্থায় এদিন স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি(Notice) দিয়ে জানিয়ে দিল যে আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি থাকবে। ২৭ জুন থেকে ফের স্কুল আগের মতোই খুলে দেবে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ও বর্ষার দেরিতে আসার বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিকালেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে কথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। সেখানেই স্কুলে গরমের ছুটি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরে পৌঁছে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এরপরেই এদিন স্কুল শিক্ষা দফতরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। যদিও এই ছুটি নিয়ে শিক্ষাবিদ ও অভিভাবক মহলের একাংশ আপত্তি জানিয়েছে।