নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভায় বোর্ড গঠন করল তৃণমূল। এদিন এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে সেখানে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের(TMC) কাউন্সিলর সুরেশ কুমার আগরওয়াল(Suresh Kumar Agarwal)। সোমবার সন্ধ্যাতেই ঝালদার মহকুমা শাসক পুরবোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য ঝালদা পুরসভা এলাকায় নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সবাইকেই চিঠি পাঠানো হয় মহকুমা শাসকের তরফে। এরপরেই সামনে আসে যে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে সমর্থন জানাতে চলেছে এক নির্দল প্রার্থী। তারপরে পরেই কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো জানিয়ে দেন মঙ্গলবার ঝালদায় ‘কালা দিবস’ পালন করবে তাঁর দল। সেই মতো এদিন কংগ্রেস ঝালদা শহরে ‘কালা দিবস’ পালন করার পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল বার করে। তাতে নেতৃত্ব দেন কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু যিনি খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী। সেই মিছিল আটকাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে পূর্ণিমা কান্দুকে হসারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আগামিকাল ১২ ঘন্টার ঝালদা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
সাম্প্রতিককালে হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে ঝালদা পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে ওয়ার্ডে জয়ী হয়। নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয় ২টি ওয়ার্ডে। বোর্ড কোন দল গড়বে তা নিয়ে জল্পনা ছড়ানোর মাঝেই জানা যায় দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে সেখানে বোর্ড গড়তে চলেছে কংগ্রেস(INC)। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হিসাবে উঠে এসেছিল চারবারের কাউন্সিলর তপন কান্দুর(Tapan Kandu) নাম। কিন্তু গত ১৩ মার্চ খুন হয়ে যান তপনবাবু। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-য়ের হাতে। তপনবাবুর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের বিষয়টি আরও জোরালো হয়। সেই মতন এদিন তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ কুমার আগরওয়াল চেয়ারম্যান নির্বাচির হন। দলের বাকি ৪ কাউন্সিলর ছাড়াও তাঁকে ওই পদে সমর্থন জানান ২ নির্দল প্রার্থীও। কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর এদিন কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নিলেও তাঁরা চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। উল্টে আগামিকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা ঝালদা বনধের ডাক দিয়েছে। সেই সঙ্গে এদিন তাঁরা শহরজুড়ে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল বার করে।