নিজস্ব প্রতিনিধি: শুভেন্দুর ছত্রছায়ায় হলদিয়া বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগে পুলিশি জেরার মুখে পড়েন রাজীব পাল। গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আর্জি জানালেন আগে তা মঞ্জুর হয়। কিন্তু সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। কিন্তু রাজীবের আর্জি খারিজ করে দিয়ে রক্ষাকবচ বাতিল করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর ঘোষ। এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ঠ রাজীব পাল।
হলদিয়া বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে রাজীবের বিরুদ্ধে। এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ আরও এক শ্যামল আদক। কিন্তু তাঁকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। সেই মামলায় শ্যামলের মতোই রক্ষাকবচ বহাল রাখতে আর্জি জানালেও নাকচ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হলদিয়া বন্দরে দাবিমতো টাকা না-দেওয়ায়, মালপত্র লোডিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে। সেই ভিত্তিতে শ্যামলের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী শেখ সাহাদাত আলি। সেই মামলাতেই নাম জড়ায় রাজীব পাল ও কালু নামে এক ব্যক্তির।
হলদিয়া পুলিশ এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতেই গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদক ও রাজীব পাল। যার ভিত্তিতে প্রথম দফায় শ্যামল আদক ও রাজীব পালকে রক্ষাকবচ দেওয়া হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজীবের রক্ষাকবচ বাতিল করল আদালত।