এই মুহূর্তে

কাঁথিতে আবারও বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু! শুনলেন ‘গো ব্যাক’ স্লোগান

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজ শহরের লোকেরাই যে তাঁর তীব্র বিরোধী হয়ে উঠবেন সেটাই এর আগে ভাবতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন পুরনির্বাচনের প্রাক্কালে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। সব থেকে বড় কথা গতকালের থেকেও এদিনের বিক্ষোভ যেন আরও বেশি পরিমাণে হয়েছে। আর এই ছবিই বলে দিচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথির দুটি কেন্দ্রেই যত সহজে গেরুয়া শক্তির জয় এসেছ, এবারে কিন্তু ততটা সহজ নয় পুরবোর্ড দখল করা। বিশেষ করে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় না থাকায় একটা আশঙ্কা কাজ করছে কাঁথি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে যে, গেরুয়া বাহিনী ভোটে জিতলে আদৌ শহরের কোনও উন্নয়ন হবে কিনা তা নিয়ে। আর এই জায়গাতেই তৃণমূল কাঁথি পুরসভা দখলের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে। 

শুক্রবার সকালে কাঁথি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থীকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান শিশিরপুত্র। কার্যত শুভেন্দু ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পা রাখতেই তৃণমূলকর্মীরা তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করে। পাল্টা স্লোগান দেন শুভেন্দুর অনুগামীরা। এক দিকে ‘গো ব্যাক শুভেন্দু’ আর অন্যদিকে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। পুলিশ আসার পরে তৃণমূলের শ্লোগানের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাতে থাকেন শুভেন্দু। অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেই এবারে কাঁথির পুরনির্বাচনে প্রার্থী করেনি বিজেপি। কার্যত পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে গিয়েই বিজেপি এই নীতি নিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই অধিকারীদের গড় হিসাবে চ্চিহ্নিত কাঁথি পুরসভা জয় করা এবার বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শহরেও যদি বিজেপি না জেতে তাহলে তার থেকে লজ্জার কিছু নেই।

বিজেপির ভরসা বলতে অধিকারীরা এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকার ঘটনা। যদিও এই এগিয়ে থাকার অর্থ এটা নয় যে, এবারের পুরনির্বাচনেও মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবে। কার্যত সেটা যে নাও হতে পারে তা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচন। সেখানেও বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬টি আসনে এগিয়ে ছিল। সেই জায়গা থেকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের আশা ছিল শিলিগুড়িতে দল ভাল ফল করবে। পুরবোর্ডও দখলে আসবে। কিন্তু সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছেন খোন শিলিগুড়িবাসী। তাঁরা কার্যত দুই হাত উপুড় করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। এই ঘটনা যে কাঁথির ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে তা এখন মানছেন বিজেপির নীচুতলার কর্মীরাও। তাই শুভেন্দু এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজেপির হয়ে প্রচার করে চলেছেন। যদিও তাতে পুরবোর্ড দখলে আসবে কিনা তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরেই প্রশ্ন রয়েছে। বিজেপি জিতলে খুব সহজে যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড মিলবে না সেটা কাঁথির বাসিন্দারা বিলক্ষণ জানেন। তাই শুভেন্দু বিজেপিকে পুরবোর্ডের ক্ষমতায় আনতে পারেন কিনা সেই দিকেই সবাই তাকিয়ে থাকবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শ্যামনগরে পুকুর ভরাট রুখতে ছুটে গেলেন বিএলআরও

ভোটের ডিউটি থেকে ছাড়, খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের

‘টলিউডে ওঁর থেকে আমি অনেক এগিয়ে’, হিরণের কেরিয়ার নিয়ে খোঁচা দেবের

প্রথম দুই দফার ভোটে সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর