এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিজ গড়েই এবার বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু

নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল ছাড়তেই পায়ের নীচ থেকে জমি সরে গিয়েছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে দাপট হারাচ্ছেন শিশির পুত্র। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়েও হারিয়েছেন তাঁর আগেকার জনসন্মোহনী ক্ষমতাও। হারিয়েছেন জনপ্রিয়তাও। বিজেপির হয়ে নানা জায়গায় সভা করে বেড়াচ্ছেন, প্রতিটি সভা থেকে রুটিন মাফিক রাজ্যের শাসক দল, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি আক্রমণ করছেন জোড়াফুলের নেতাদেরও। কিন্তু কোনও নির্বাচনেই বিজেপিকে জয়ের মুখ দেখাতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার সেই বিজেপির প্রার্থীর হয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেড়িয়েছিলেন তিনি। আর সেটাও তাঁর নিজের শহর কাঁথিতে। আর সেখানেও কিনা তাঁকে পড়তে হল বিক্ষোভের মুখে। কার্যত নিজের গড়ে এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে হতচকিত হয়ে যান তিনি নিজেও। কার্যত এই সব ছোটখাটো ঘটনাও বলে দিচ্ছে নিজের শহরেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় রয়েছে নির্বাচন। সেই তালিকায় আছে পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম প্রধান মহকুমা শহর তথা অধিকারীদের নিজ শহর কাঁথিও। সেই শহরের পুরবোর্ড দখলের বিষয়টি এখন বঙ্গ বিজেপির কাছে যেমন প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে তেমনি শুভেন্দুর কাছেও তা সম্মানের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে সামনে রেখেই বিজেপি কাঁথিতে চালু করেছে ‘দুয়ারে শুভেন্দু’ কর্মসূচি। কিন্তু প্রথম দিনই সেই কর্মসূচী পড়ল তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে। এদিন কাঁথি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামেন শুভেন্দু। কাঁথির খড়গপুর বাইপাস সংলগ্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন প্রচার শুরু করেন শুভেন্দু। কাঁথি শহরের ৬টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার শুরু করেন তিনি। আর সেই সময়েই ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তৃণমূলকর্মীরা তাঁকে দেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে শ্লোগান দিতে থাকেন। তবুও সেই স্লোগানের মধ্যেই প্রচার চালিয়ে যান শুভেন্দু।

ঘটনাচক্রে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর এবার কাঁথি পুরসভার ভোটে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিনিধিই নেই নির্বাচনী ময়দানে। বিজেপি অধিকারী পরিবারের কাউকেই এবারে টিকিট দেয়নি। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী সাংসদ। শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও সাংসদ। শুভেন্দু নিজে বিরোধী দলনেতা ও বিধায়ক তাই তাঁদের ৩জনকে টিকিট না দেওয়ার যুক্তিও আছে। কিন্তু সৌমেন্দু অধিকারী কিছুই নন। তা সত্ত্বেও বিজেপি কেন তাঁকে প্রার্থী করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠে গিয়েছে। কার্যত এর পর থেকেই অধিকারী পরিবারের কাউকেই বিজেপির হয়ে কোনও নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। খালি শুভেন্দু নিজের মতো করে বিজেপির হয়ে প্রচার করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রচারের পথেও যে বিস্তর কাঁটা রয়েছে তা এদিনই দেখা গেল শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। যদিও শুভেন্দু ও বিজেপি উভয়েই কাঁথি পুরসভায় জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে তৃণমূল যে সেই লড়াইয়ে শুভেন্দু ও বিজেপিকে জমি ছেড়ে দেবে না সেটা এদিনের ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

মেদিনীপুরের মাটি থেকে ‘গদ্দার’দের তীব্র আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর