নিজস্ব প্রতিনিধি: আম্ফান(Amphan) বাংলার(Bengal) বুকে হানা দিয়েছিল কোভিডের লকডাউনের সময় ২০২০ সালের মে মাসে। তার পরে পরে আরও বেশ কিছু সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব বাংলার বুকে না পড়লেও রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলি তাতে প্রভাবিত হয়। সেই সব ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকার অসংখ্য ত্রাণশিবির খুলেছিল পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলায়। সেই সব ত্রাণ শিবিরে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়ও নিয়েছিলেন। এখন Central Audit Team সেই সব শিবিরের নাম, আশ্রয় নেওয়া মানুষজনের সংখ্যা এবং তাতে খরচ কত হয়েছে তা জানতে চাইল রাজ্য সরকারতের কাছ থেকে। কেননা যে প্রকল্পের অর্থ দিয়ে এই সব শিবির খোলা ও চালানো হয়েছিল, সেই State Disaster Response Fund’র একটা বড় তহবিল কেন্দ্র সরকার দেয়। তাই হিসাব চেয়েছে তাঁরা।
গত ৭ডিসেম্বর Central Audit Team পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এসেছিল। দু’সপ্তাহ ধরে সেই টিম জেলাশাসকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপন অফিসে বসে ২০১৮সাল থেকে বিভিন্ন সুপার সাইক্লোনে ক্ষতিপূরণ এবং খরচ নিয়ে Audit করেছে। বুলবুল থেকে আম্ফান, যশ থেকে মোচা’র সময় কত খরচ হয়েছিল তার হিসাব দেখেন তাঁরা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫দিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে Central Audit Team তাঁদের Audit’র কাজ চালায়। তারপরেও তাঁরা নবান্ন থেকে নানা বিষয়ে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। তারমধ্যে মূল বিষয় হল, বিপর্যয় মোকাবিলার খাতে কত খরচ হয়েছে। ত্রাণ শিবির চালাতে খরচ কত, মোট ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা, সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা এবং তাতে খরচ কত হয়েছে তা তাঁদের জানাতে হবে। ব্লক, মহকুমা এবং জেলা তিনটি স্তরের রিপোর্ট দিতে হবে।