নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে টানাপড়েন চলছেই। চিঠি-পাল্টা চিঠির মধ্যে দিয়েই চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের শাসকদল রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে এবিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে এই টানাপড়েনের মধ্যেই ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছেন বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে পরে বলবেন, আগে শপথগ্রহণ ভালোয় ভালোয় মিটুক। এমনটাই মত বিধায়কের।
বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় জানান, তাঁর শপথগ্রহণ নিয়ে যা চলছে, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলবেন। রাজ্যপালকে নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করবেননা। এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি। সময়ে যা মন্তব্য করার করবেন।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। বিজেপির থেকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তারপর থেকেই শপথগ্রহণ পর্ব ঝুলে রয়েছে। যদিও রাজভবনের তরফে বিধায়ককে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর রাজভবনে শপথ নিতে কোন অসুবিধা রয়েছে কিনা, এমনটাই সূত্রের খবর। তবে শনিবার শপথগ্রহণ না করে নিত্যদিনের মত পাঠদান করেন। এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলেই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর)বিধানসভায় শপথগ্রহণের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে চিঠি পাঠায় রাজভবন। তাতে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণের কথা জানানো হয়। তবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। স্পিকারের বদলে তাঁকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোটা পরিষদীয় শিষ্টতা এবং রীতির পরিপন্থী বলেই জানান ডেপুটি স্পিকার। স্পিকার পাল্টা রাজভবনে চিঠি পাঠান। বিধাসভায় গিয়ে রাজ্যপালকে শপথগ্রহণের কথা জানান। এই উত্তপ্ত আবহে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে চুপ রইলেন বিধায়ক।
শপথগ্রহণ না হওয়ায় ধূপগুড়ির মানুষের পরিষেবা দিতে ব্যহত হচ্ছে বলে আগেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে শপথগ্রহণ যাতে সঠিকভাবে মিটে যায় সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের ভূমিকা প্রসঙ্গে চুপ রইলেন বিধায়ক।