নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁরা ৩৪ বছর ধরে বাংলা(Bengal) শাসন করেছেন। কিন্তু সেই ক্ষমতা হারাবার ১২ বছরের মধ্যে তাঁদের এমন হাল হয়েছে যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি ব্লকে জয়ী হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র বাম সদস্যকে তাঁরা ধরে রাখতে পারছেন না। সেই সদস্য চলে আসছেন তৃণমূলে(TMC), যারা এখন বাংলার বর্তমান শাসক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) কোচবিহার(Coachbehar) জেলার দিনহাটা-২ ব্লকের সাহেবগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে(Sahebganj GP)। সদ্য সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাহেবগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হন আবুল কালাম আজাদ। গোটা ব্লকে বামেদের আর কোনও প্রার্থীই জয়ী হননি। অথচ শনিবার সেই কালামই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের(Udayan Guha) উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুন SUCI’র ব্রিগেড মঞ্চ থেকে নিশানা CPIM-ISF জোটকে
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাহেবগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ নম্বর আসন থেকে জয়ী হন সিপিআই(এম) প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি পান ৪২৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের কল্পনা বর্মণ পান ২৪১টি ভোট। ওই আসনেই বিজেপির প্রার্থী সুমন সাহা পান ১৫৫টি ভোট। এদিন সেই আসনেরই জয়ী প্রার্থী কালাম যোগ দেন তৃণমূলে। জার্সি বদলের পরে তাঁর দাবি, ‘আমি এক সময় সিপিএম করতাম। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিপিএমে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সিপিএমে থেকে কাজ করার সুযোগ নেই। তাই আবার তৃণমূলে যোগ দিলাম।’
আরও পড়ুন পুরুলিয়ার D.ED কলেজে অবৈধভাবে ভর্তি ৪৪ পড়ুয়া
যদিও স্থানীয় সিপিএম নেতাদের দাবি, কালামের ওপর চাপ তৈরি করে দলবদল করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তবে তৃণমূলের দাবি, জয়ী সদস্য নিজেই দলবদলের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আবুল আগে তৃণমূলেই ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি যোগ দেন সিপিএমে। ঘটনাটি প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, ‘কোন কারণে আবুল কালাম আজাদ সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন। গোটা ব্লকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র তিনিই জয়ী হয়েছেন। তিনি মনে করেছেন, তিনি একা থেকে কী করবেন? তাই তিনি নিজেই যোগাযোগ করেছিলেন এবং আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।’