এই মুহূর্তে




চা-শ্রমিকদের ডাকা বনধে ধাক্কা খেল পাহাড়ের আংশিক জনজীবন

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) পাহাড়ে একটা প্রচলিত কথা আছে। সেখানকার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে ৩টি ‘T’র ওপর। সেই ৩ ‘T’ হল – Tea, Timber আর Tourism। অর্থাৎ চা শিল্প, কাঠশিল্প আর পর্যটন শিল্প। এখন দেখা যাচ্ছে, চা শিল্পের জেরে ধাক্কা খাচ্ছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে এদিন অর্থাৎ সোমবার, যা সপ্তাহের প্রথম দিনও, সেই কর্মব্যস্ত দিনে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের(12 Hours Strike) ডাক দিয়েছে চা-শ্রমিক সংগঠনগুলি(Tea Workers Organizations)। সেই বনধের জেরে ধাক্কা খেল দার্জিলিংয়ের জনজীবন। বিপাকে পড়লেন কয়েক হাজার পর্যটকও(Tourists are in Problem)। পুজোয় বোনাস(Bonus) নিয়ে চা বাগানের মালিক-শ্রমিক পক্ষের ‘দরাদরি’, মতানৈক্যের জেরেই এদিন ১২ ঘন্টার বনধ ডাকা হয়েছে। সেই বনধের জেরেই এদিন সকাল থেকে কার্যত স্তব্ধ দার্জিলিং। চা বাগানগুলি তো বটেই, পাহাড়ি শহরের জনবহুল স্থানও কার্যত শুনশান।

আরও পড়ুন, বকেয়া Property Tax না মেটালে Building Plan’র অনুমোদন মিলবে না

চা শ্রমিকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা গণতান্ত্রিক মোর্চা। ফলে শ্রমিকদের এই প্রতিবাদ আরও কিছুটা অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে দিতে হবে পুজোর বোনাস। আর মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত, ২০ নয়, ১৩ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে। এনিয়ে আগেও একাধিকবার আলোচনা হয়েছে উভয়পক্ষের। দুজনেই নিজ নিজ দাবিতে অনড়। দাবি আদায়ে তাই এবার কাজকর্ম বন্ধ রেখে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। যার জেরে সকাল থেকে চা বাগানের দরজা পর্যন্ত খোলেনি। দার্জিলিংয়ের জনবহুল ম্যাল একেবারে ফাঁকা। গরুবাথানের সাপ্তাহিক হাটও বসেনি। শ্রমিক স্বার্থে এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন সকলেই। চা শ্রমিকদের এই ধর্মঘটের জেরে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। পাহাড়ে থেকে সমতলে কোনও গাড়ি ওঠানামা করছে না। কোনও কোনও জায়গায় রাস্তা অবরোধ করছেন শ্রমিকরা। তবে এই ধর্মঘটের জেরে পর্যটন শিল্পে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে।

আরও পড়ুন, পোর্টালে রয়েছে নাম, অথচ স্কুলে নেই অস্তিত্ব, সবুজসাথীর সাইকেল বিলি নিয়ে কড়া রাজ্য

তবে পাহাড়ে ধর্মঘট হলেও কালিম্পংয়ে এতটা প্রভাব পড়েনি। বেলার দিকে এখানকার দোকানপাট খুলতে শুরু করে। স্কুল, কলেজও স্বাভাবিক। সকাল থেকে কালিম্পং বাস টার্মিনাস এলাকায় বা, গাড়ির জন্য হাঁকাহাঁকির চেনা ছবিটাই দেখা গিয়েছে এদিন। কার্শিয়াং আর মিরিকে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ। শিলিগুড়ি থেকে কোনও গাড়ি দার্জিলিং, কার্শিয়াং যাচ্ছে না। চরম হয়রানি পর্যটক ও নিত্যযাত্রীদের। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। সকাল থেকে কিছু গাড়ি পাহাড়ে গেলেও সেগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনজেপি, বাগডোগরা-সহ নানা জায়গায় গাড়ির স্ট্যান্ড কার্যত ফাঁকা। অশান্তি এড়ানোর জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পুজোর সময় বহু পর্যটক পাহাড়মুখী হন। চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এদিন যাদের সাইট সিন দেখার কথা ছিল তাঁদের হোটেলে বসে থেকেই সময় কাটাতে হচ্ছে। যাদের পাহাড়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাঁদের সমতলেই আটকে থাকতে হয়েছে। আর যাদের পাহাড় থেকে ফেরার কথা ছিল, তাঁরাই সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

চাহিদা তুঙ্গে, বর্ধমান থেকে মালয়েশিয়ায় গেল জামদানি

মাত্র ৯৯৯ টাকা ! পুজোয় ঘুরে আসুন ডুয়ার্স থেকে, মিলবে একাধিক সুবিধা

বন্ধ বেলুড় মঠ জেটি ঘাট, একাধিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে লঞ্চ কর্মীরা

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে কোটি কোটি প্রতারণা চক্রের হদিশ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর