এই মুহূর্তে




সুপ্রিম নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে স্পেশাল রিভিউ পিটিশন দায়েরের পথে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সব প্রাথমিক শিক্ষককে টেট পাশ করতেই হবে। এর জন্য দু’বছরের সময়সীমা বেঁধে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুধু চাকরির পাঁচ বছর বাকি থাকলেই মিলবে ছাড়। এ পর্যন্তই বলা ছিল। শীর্ষ আদালতে এই নির্দেশের ফলে প্রায় ৯০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। এবার সকল শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি রক্ষায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে চলেছে রাজ্য।

গত ১ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ নির্দেশ দিয়েছিলেন যে দুবছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। এর মধ্যে যে সকল প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার ৫ বছরের বেশি চাকরি রয়েছে তাঁদের পদোন্নতি পেতে হলে টেট পরীক্ষা করতে হবে। শুধু ৫ বছরের কম যাদের চাকরি জীবন বাকি রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ গ্রাহ্য হবে না। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষকের চাকরি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

এর মধ্যেই গত ৭ অক্টোবর রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন এবিপিটিএ’র পক্ষ থেকে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। তারপরে রাজ্যের পক্ষ থেকেও এমনই পিটিশন ফাইল করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে সুপ্রিম রায়কে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আর্জি জানানো হচ্ছে। পিটিশন দাখিলের সমস্ত রকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে।

ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে তাতে সুপ্রিম নির্দেশ মানতে হলে প্রায় ১ লক্ষ শিক্ষককে এখন টেট পরীক্ষায় বসতে হবে। এই এত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা টেট দিয়ে আদৌ পাশ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতদিন চাকরি করার পর তাঁদের আবার টেট পরীক্ষায় বসা বড়সড় মানসিক ধাক্কার সামিল। পাশাপাশি পঠন পাঠনেও প্রভাব পড়বে। সেই জন্যই রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১১ সালের পর থেকে টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছে টেট ছাড়াই।AICT’র গাইড লাইনও তেমনই ছিল। এখন টেট পরীক্ষা দিতে গেলে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা টেট উত্তীর্ন নন তাঁদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট যদি রায় পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের টেট পরীক্ষা দিতে হবে। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতর মনে করতে রাজ্যের তরফে যদি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্ট সাড়া দিলেও দিতে পারেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছির যৌনকর্মীরা কার্তিক পুজোয় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে

বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ, গ্রেফতার ২

জগদ্দলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ পাইয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ RSS নেতার বিরুদ্ধে

অপরিচিতার কাছে শিশু পুত্রকে রেখে ওষুধ কিনতে যান মা, সদ্যোজাতকে নিয়ে উধাও যুবতী

রাজ্য ও ভিন রাজ্যের কয়েকশো বাংলাদেশি হাকিমপুর সীমান্তের পথে, আটক করল বিএসএফ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ