এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যে বাতিলের পথে Urban Land Ceiling Act

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে নগরজীবন। বদলাচ্ছে মানুষের মানসিকতা। সেই বদলের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে নগরায়ণের চরিত্রও। এবার সেটাই ছাপ ফেলছে রাজ্যের আইনেও। কেন্দ্র সরকারের যে মূল আইনটি মেনে রাজ্যের আইন তৈরি হয়েছিল সেটি ২৫ বছর আগেই বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তাই রাজ্যের আইনের আর সংশোধনী আনা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এবার রাজ্যেরও একটি আইন বাতিল করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে(State Budget)। নজরে Urban Land Ceiling Act। কেন্দ্রের মূল আইনটি ১৯৯৯ সালেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারও এই আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে। আর এই আইন বাতিলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে রাজ্যের আবাসন শিল্পে(Housing Industry)।

কী আছে এই Urban Land Ceiling Act-এ? এই আইন অনুযায়ী পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় ১জনের মালিকানায় ৭ কাঠার বেশি জমি রাখা বেআইনি। কিন্তু দেশে যে হারে দ্রুত নগরায়ণ হ্যে চলেছে বা তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে তা দেখে ১৯৯৯ সালেই কেন্দ্র সরকার এই আইনটি বাতিল করে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রের আইন মেনে তৈরি হওয়া রাজ্যের আইনটি এতদিন ধরে বহাল আছে। কিন্তু এখন রাজ্য সরকারও দেখছে বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এই আইনকে টিকিয়ে রাখার কোনও অর্থ হয় না। কেননা এখন শহর এলাকায় একক বাড়ি তৈরির তুলনায় ফ্ল্যাট বাড়ি বেশি তৈরি হচ্ছে। এরজন্য প্রয়োজন পড়ে ৭ কাঠার বেশি জমি। এক্ষেত্রে একাধিক ব্যাক্তি বা কোম্পানির নামে জমি কিনে, তবে ৭ কাঠার বেশি জমিতে ফ্ল্যাট বানাতে হচ্ছে যা রাজ্যের আবাসন শিল্পের ক্ষেত্রে একটা বড় কাঁটা হয়ে রয়েছে। আর সেই কাঁটা দূর করার লক্ষ্য নিয়েই এবার Urban Land Ceiling Act বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। গতকালের পেশ হওয়া বাজেটে সেই রকমই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আবাসন শিল্প সংস্থাগুলি। বিগত কয়েক দশকে, সারা দেশে এবং বিশেষত বাংলার সামাজিক, আর্থিক এবং শিল্পের ক্ষেত্রে, আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু শিল্প এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন জমির উর্দ্ধসীমা একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার Urban Land Ceiling Act বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাম বাংলার জন্য প্রযোজ্য West Bengal Land Reforms Act’র ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত ধারাগুলির বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা করা হবে বলেও গতকালের বাজেটের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গ্রাম বাংলায় এখন ভূমিসংস্কার আইন অনুযায়ী, একক মালিকানায় ২৪.২২ একর জমি রাখা যায়। সেটিওর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী পরিবর্তন আনে সেদিকেও সকলে তাকিয়ে থাকবেন। কেননা বৃহত্তর কলকাতায় দেখা যাচ্ছে শহর ঘেঁষা পঞ্চায়েত এলাকায় বড় বাড় আবাসন মাথা তুলছে। কিন্তু সেই সেক্ষেত্রে সমস্যা হিসাবে দেখা দিচ্ছে একক মালিকানায় ২৪.২২ একর জমি রাখার বিষয়টি। তাই সেখানেও ধাক্কা খাচ্ছে য়াবাসন শিল্প। সেই ছবিও বদলাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জঙ্গিপুরের দখল ধরে রাখতে তৃণমূলের ভরসা সংখ্যালঘুরাই

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

নিট দিতে গিয়ে সাপের ছোবল খেলেন পরীক্ষার্থী,মেদিনীপুরে ছড়াল উত্তেজনা

‘এই ছেলেটাই জেলার উন্নয়নকে হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত’, কেষ্টকে বড় সার্টিফিকেট দিলেন দিদিমণি

‘মায়ের সম্মান চলে গেলে ফেরানো যায় না’, সন্দেশখালিকাণ্ডে সরব মমতা

মেদিনীপুরে রদবদল, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের  যোগ দিলেন বহু নেতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর