নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi), অমিত শাহ আর জে পি নাড্ডার বিজেপির(BJP) কাছে কার্যত ধরাশায়ী সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়্গের জাতীয় কংগ্রেস(INC)। বিজেপি শুধু নিজেদের দখলে থাকা মধ্যপ্রদেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে ধরেই রাখল তাই নয়, কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। কংগ্রেসের একমাত্র সান্ত্বনা তেলেঙ্গানা জয়। যদিও সেখানেও থাকছে প্রশ্ন, বড় ব্যবধানে জিতছে না কংগ্রেস। ট্রেন্ড বলছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে মাত্র ৪ কী ৫টি আসন বেশি পেতে চলেছে কংগ্রেস। অর্থাৎ যে কোনও দিন, যে কোনও সময় সেই রাজ্যও হাতছাড়া হতে পারে কংগ্রেসের। তা সে সরকার গড়ার আগেই হোক কী পরে। এই অবস্থায় এদিন কংগ্রেসকেই নিশানা বানাল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। তাঁদের অভিমত, দেশের ৩ রাজ্যে গেরুয়া ঝড় কার্যত বিজেপির সাফল্য নয়, বরং তা কংগ্রেসের ব্যর্থতা।
কেন এমন অভিমত তৃণমূলের? বাংলার শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা, ভালোবাসার দোকান কিংবা নরম হিন্দুত্ব কোনও কিছুই গোবলয়ের জনতার মন কাড়তে পারেনি। এই জয় বিজেপির সাফল্য নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতা। দেশে বিজেপিকে হারানোর লড়াইতে নেতৃত্ব দেওয়ার দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির জয়রথ ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বিকল্প দূরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া ভার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মোদিকে ঠেকাতে বিকল্প একমাত্র মমতাই। অন্তত সাম্প্রতিক ভোটের চিত্র অন্তত সেটাই বলছে। মোদি-শাহ-নাড্ডাদের মতো পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে একা লড়াই করে চলেছেন তিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কুৎসা, কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের অতিসক্রিয়তা থেকে বিরোধীদের সম্মিলিত আক্রমণ সবকিছুর বিরুদ্ধেই বুক চিতিয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই বাংলায় দাঁত ফোটাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপিকে বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার শক্তি আর কজনের আছে!