নিজস্ব প্রতিনিধি: একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যুতে রহস্য দানা বাঁধল পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার দুর্গাপুরে(Durgapur)। একই বাড়ির একটি ঘর থেকে শনি সকালে উদ্ধার হল দিদি, বোন এবং ভাইয়ের পোড়া দেহ। দুর্গাপুরের লাউদোহা এলাকার লস্করবাঁধের আদিবাসী পাড়ার এই ঘটনা ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্যও পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের(Police) ধারনা এই ঘটনা আত্মহত্যার। কিন্তু তা মানতে নারাজ নিহতদের পরিবার(Tribal Family)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন (৩৩), সুমি সোরেন (৩৫) এবং শুকমণি সোরেন (২৮)।
আরও পড়ুন ‘No Vote To BJP’, প্রচারে নামছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপিরই নেতারা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ওই মৃত ৩জনের বাবা হপনা সোরেন প্রাতকৃত্য সেরে বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখতে পান বাড়ির ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সেই সময় ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। হপনা দরজা ভেঙে দেখতে পান তাঁর তিন ছেলেমেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁদের বাঁচানো যায়নি। কী কারণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হল তা এখনও জানা যায়নি। ফলে কারণ ঘিরে ঘনিয়েছে রহস্য। পরিবারের দাবি, কেউ বা কারা এই ৩জনকে গাউনে পুড়িয়ে মেরেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা সেরকম কাউকে এলাকায় আসতে দেখেননি।
আরও পড়ুন জুনেই Aadhar Biometric পদ্ধতিতে ধান কিনবে রাজ্য
মঙ্গল লাউদোহা-ফরিদপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁর বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। মঙ্গলের বোন সুমি কলকাতার এক হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের দিদি শুকমণি বাড়িতেই থাকতেন। দাদার বিয়ের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় লাউদোহা-ফরিদপুর থানার পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তিন জন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং মৃতদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বয়ান রেকর্ড করার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।