নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তৃণমূল- বিজেপিকে একজায়গায় দেখা মেলা ভার। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চূড়ান্ত মাত্রা নিয়েছে নির্বাচনের আগে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তৃণমূলের বিধায়ক। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামে। বিজেপি নেতা ধর্মদাস গোপের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন খেলেন পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা শাড়ি উপহার দেয়। এমনি সৌজন্যের রাজনীতি দেখা গেল দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার প্রচারের ফাঁকেই বিজেপি নেতার বাড়িতে যান তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে গিয়ে মেঝেতে বসে খান মধ্যাহ্নভোজন। এই নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন,” ধর্মদাস বাবু বিজেপি কর্মী হলেও তিনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বর্তমানে তিনি বিজেপি কর্মী হলেও অতীতে তৃণমূলের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।”
অন্যদিকে বিজেপি কর্মী ধর্মদাস বাবু বলেন,”বিধায়ক তো সবার। এর মধ্যে কোন রং দেখছি না। বিধায়ক যদি খেতে আসে তাহলে তো আর না করা যায় না। আমার প্রতীক চিহ্ন আলাদা ওনার আলাদা।বিধায়ক সবার। বিধায়ক আমাদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করায় আমি আপ্লুত।“ তবে এই ঘটনা একেবারেই ভাল চোখে নেয়নি বিজেপির নেতৃত্বরা। মধ্যাহ্নভোজন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই চিত্র যে এক আলাদাই বার্তা দেবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।