নিজস্ব প্রতিনিধি: এক যুগেরও আগে তিনি বাংলার(Bengal) মসনদে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছেন। নিজের হাতে রাজ্য পরিচালানার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরু দায়িত্ব। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি বুঝেছিলেন বাংলার উন্নয়ন ঘটাতে গেলে সবার আগে বাংলার মানুষের আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তা সে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমেই হোক কী কর্মসংস্থানের মাধ্যমেই হোক। সেই কারণেই তিনি কম বিনিয়োগে বেশি সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র ও কুটির এবং মাঝারি মাপের(MSME) শিল্পের বিকাশে নজর দিয়েছিলেন, তেমনি জোর দিয়েছিলেন গ্রামে গ্রামে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী(Women Self Help Group) গড়ে তোলার কাজে। পরিবর্তনের একযুগ বাদে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের(7th Bengal Global Business Summit 2023) মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বার্তা দিলেন নির্ভীক, উদার, আত্মদৃপ্ত, গর্বিত কন্ঠে, ‘আজ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দিন, গ্রামই এখন Growth Center’। বক্তা বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
বুধবার কলকাতার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বসেছিল সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তির আসর। সেখানেই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘MSME এমন একটা খাত, যেখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বাড়ির মহিলারা রান্নার পাশাপাশি এই MSME-র মাধ্যমে সংসারে অর্থ সাহায্য করছে। ক্ষুদ্র সবসময় সুন্দর। অনেক সময় আমরা অনেক বড় বড় জিনিস দেখি, কিন্তু তারা খুব বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে না। যা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করে দেখায়। আজ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দিন, গ্রামই এখন Growth Center। বাংলায় ৯০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তাই ভারতে কর্মসংস্থান কমেছে। কিন্তু বাংলায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। যখন দেশের কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ কমেছে তখন শুধু বাংলাতেই ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট চায়ের দোকান মানে ছোট ব্যাপার নয়। বড় বড় হোটেলের ধার থেকে রাস্তার ধারে থাকা ছোট ছোট হোটেলগুলোও গুরত্বপূর্ণ। পর্যটনে আমরা অনেক হোম স্টে তৈরি করেছি। ক্ষুদ্র শিল্পদের বলব আপনারা আপনাদের ব্র্যান্ডকে ব্যবহার করুন। আপনারা ভাববেন না যে আপনারা ছোট। ৫০ কোটি থেকেও আপনারা ১০০০ কোটি টাকা আয় করতে পারেন। ছোট ব্যবসায়ীদের বলব নিজেদের কখনও ছোট মনে করবেন না।’