নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্র সরকারের অগ্নিপথ (AGNIPATH) সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হঠকারী ও ভুল সিদ্ধান্তের অভিযোগ জানিয়ে জারি প্রতিবাদ। সেই আঁচ পড়েছে রাজ্যেও। অশান্ত বিহারে একের পর এক ট্রেনে অগ্নি সংযোগের জেরে উত্তরবঙ্গ ও অসম থেকে দিল্লির অভিমুখে যাওয়া ৩ টি ট্রেনের চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাতিল করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রেল (RAIL) দফতর।
শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিভাগীয় রেল দফতর। আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে দিল্লিগামী ট্রেন, ডিব্রুগড় থেকে লালগড়, ক্যামাখ্যাধাম থেকে দিল্লির আনন্দবিহারগামী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অসমে বন্যার কারণে শিলচর থেকে সেকেন্দ্রাবাদ গামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি গৌহাটি থেকে ছেড়ে গোয়ালপাড়া – বনগাইগাও হয়ে চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছে। অগ্নিপথ নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ঝড় বিহার, হরিয়ানা ছাড়িয়ে সেকেন্দ্রাবাদেও এসে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, সেখানেও একটি ট্রেনে শুক্রবার অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ট্রেন কতদিন নিয়মমাফিক চলবে, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ সীমান্ত রেলের কর্তারাও।
এদিকে, সেনাবাহিনীতে (ARMY) নিয়োগের নতুন নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে শিলিগুড়িতে ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে এবং বাঁশ ও লাঠি নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে যুবকরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে শিলিগুড়ি শহর জুড়ে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীতে চাকরী প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে পয়গম্বর বিতর্কের নেপথ্যে ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্য। সেই বিতর্কের আঁচ বেশ ভালই ধাক্কা দিয়েছে বাংলার জনজীবনকে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাংলার বুকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল নানা জেলায়। সেই অশান্তির আঁচে পুড়েছে হাওড়া জেলার পাঁচলা, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা ও নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি। সেই অশান্তির রেশ কাটার আগেই আবারও বাংলাজুড়ে শুরু হয়ে গেল ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ। বৃহস্পতিবার যা শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়ায় দেখা গিয়েছিল শুক্রবার সকালে সেটাই ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেল বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগর এবং খাস কলকাতায় হাওড়া ব্রিজের ওপরেও।