নিজস্ব প্রতিনিধি: কালবৈশাখীর তাণ্ডবে প্রাণ গেল দুজনের। শনিবার বিকেলে কালবৈশাখীর জেরে গাছ পড়ে বাংলার দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হল। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক কিশোর। মৃত কিশোরের বাড়ি বর্ধমান শহরে। ঘটনার খবর পেয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঝড়ের তাণ্ডবে দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি দুজন কিশোরের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার আলিপুরে গাছ ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছেন আরও এক যুবক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম শেখ আলিশান। শনিবার বিকেলে যখন ঝড় ওঠে তখন ওই কিশোর পাড়ায় ক্যারাম খেলছিল। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারবাগান এলাকার বাসিন্দা সে। শনিবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে একটি বন্ধ চা দোকানে ক্যারাম খেলছিল আলিশান। ঝড় ওঠার পর আচমকা যে দোকানে ক্যারাম খেলছিল সে, সেই দোকানের ওপর একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। গাছ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয় তার সঙ্গে ক্যারাম খেলতে থাকা আরও দুই কিশোর। এর পর স্থানীয় মানুষজন এসে আলিশান-সহ ওই কিশোরদের দোকান থেকে বের করেন। তড়িঘড়ি আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসইপায়তালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম দুই কিশোরকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পৌঁছয় স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক খোকন দাস এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অন্যদিকে কালবৈশাখীর জেরে হুগলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের সময় আম কুড়োতে গিয়ে নারকেল গাছ ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুনীল নাথ। ৩২ বছর বয়স তাঁর। শ্রীরামপুর ঘোড়ামারা পশ্চিমপাড়া মল্লিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
শনিবারের ঝড়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে একাধিক জায়গায় ট্রেন চলাচল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। হাওড়া বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গে মোবাইল টাওয়ারও ভেঙেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীও দাপট দেখিয়েছে। কলকাতায় এই ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার।