এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপির মুখ পুড়িয়ে ইস্তফা রানাঘাটের দলীয় সভাপতি-সম্পাদকের

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে যখন বঙ্গ বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব উদ্বাহু হয়ে নেচে চলেছে ঠিক তখনই তাঁদেরকে ধাক্কা দিলেন নদিয়া(Nadia) জেলার দুই গেরুয়া নেতা। দুই নেতাই রীতিমত হেভিওয়েট। একজন দলের রাণাঘাট(Ranaghat) শহর মণ্ডলের সভাপতি অন্যজন সাধারণ সম্পাদক। দুইজনই বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁদের ওই দুই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য। কার্যত পুরনির্বাচনে(Municipal Election) বিজেপির খারাপ ফলের দায় যে ওই নেতারা আর নিজেদের ঘাড়ে নিতে চাইছেন না তা এই পদত্যাগের ঘটনায় সামনে চলে এসেছে। বিজেপির ওই দুই নেতার চিঠি মিডিয়ার হাতে না এলেও বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নেতাই এই বিপর্যয়ের জন্য দলের নীতি, কার্যপদ্ধতি ও রাজ্য নেতৃত্বের মনোভাবের কারণকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।

যে দুই নেতা বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে অব্যাহতি চেয়েছেন তাঁরা হলেন বিজেপির রাণাঘাট শহর মণ্ডল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় প্রামানিক ও বিজেপি রাণাঘাট শহর মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন পাল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে রানাঘাট পুরসভায় বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ার জেরেই দুই নেতা নিজ নিজ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। আর এই ঘটনার জেরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলও সামনে চলে এসেছে। রানাঘাট নদিয়া জেলার অন্যতম মহকুমা ও পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিসনের এক গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশনও। সেই রানাঘাট শহরেই র‍য়েছে ২০টি ওয়ার্ড। ২০১৯ সালের সাধারন নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার শুধু জয়ী হয়েছিলেন তাই নয়, রানাঘাট শহরের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যায় বিজেপি আর অত বেশি সংখ্যক ওয়ার্ডে লিড ধরে রাখতে পারেনি। বরঞ্চ বেশ কিছু ওয়ার্ডে তখনই এগিয়ে যায় তৃণমূল। তারপরেও অবশ্য রানাঘাট পুরসভা এলাকায় প্রায় ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি।

কিন্তু সদ্য সদ্য হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে দেখা যায় রানাঘাটে বিজেপি মাত্র ১টি ওয়ার্ডে জিততে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ উনিশের ভোটে রানাঘাট শহরের মানুষ যে উদ্দীপনা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন সেই উৎসাহ তাঁরা আর ধরে রাখতে পারেননি। বরঞ্চ তারপর থেকেই তাঁরা বিজেপির দিক থেকে ধীরে ধীরে মুখ ঘোরাতে শুরু করে দেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই মুখ ঘোরানোর প্রবণতা ধরা পড়লেও বিজেপির তরফে কার্যত ভোট ধরে রাখা বা মানুষজনকে আবার বিজেপিমুখো করে তোলার কোনও চেষ্টাই দেখা যায়নি। এর নিট রেজাল্ট রানাঘাট পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্তি মাত্র ১টি আসন। অর্থাৎ উনিশের ভোটের ঠিক উল্টো ছবি। এখন দলের আশানুরূপ ফল না হওয়ায় সাংগঠনিক ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় প্রামানিক ও বিশ্বরঞ্জন পাল। যদিও তাতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দোষ ঢাকা পড়ছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে, এপ্রিল মাসের শেষে তাপমাত্রা আরোও বাড়বে

নকশালবাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত নাবালিকা গণধর্ষণের শিকার, ধৃত ৫

ঝাড়গ্রামে প্রচণ্ড গরমে কাদায় গড়াগড়ি দুই হাতির

আমাকে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সভা থেকে বিস্ফোরক অভিষেক

২০০ গণ্ডি পার করবে না বিজেপি, রাজ্য ধরে ধরে হিসাব দিলেন মমতা

‘এনআরসি, সিএএ করতে দেব না’, ফের হুঙ্কার মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর