নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলাকে ভেঙে যে ২টি নতুন জেলা গড়া হবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল। বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমাকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে আলাদা করে পৃথক জেলা হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে পুজোর পরেই এই নতুন দুই জেলার জন্ম তারিখ ঘোষণা করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত ২০২৪ সালের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন দুই জেলা আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে রাজ্যের বুকে। বনগাঁ জেলার নাম হবে ইচ্ছামতী(Icchamati)। সেখানে থাকবে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা ও স্বরূপনগর ব্লক। সেই সঙ্গে নতুন জেলার মধ্যে থাকবে বনগাঁ ও গোবরডাঙা পুরসভা। অন্যদিকে বসিরহাট(Basirhat) জেলায় থাকবে বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালী ১ ও ২ ব্লক, বসিরহাট ১ ও ২ ব্লক এবং বসিরহাট ও টাকি পুরসভা।
আরও পড়ুন কলকাতাতেই বাংলার প্রথম E-Hospital চালু করছে মমতার সরকার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল যে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমা এলাকায় বিজেপি(BJP) ভাল ফল করলে কী এই নতুন জেলা গড়বে রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েতের রায়েই। কেননা ফল বলছে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমাজুড়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। প্রস্তাবিত ইচ্ছামতী জেলার ৪টি ব্লকের ১২টি জেলা পরিষদ আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল(TMC)। ৪টি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাগদা, বনগাঁ ও গাইঘাটায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির লড়াই হলেও স্বরূপনগরে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হয়েছে বামেদের। সেখানে বিজেপি চলে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর তাই ইচ্ছামতী জেলা গঠনে এখন আর কোনও অসুবিধাই থাকছে না। কেননা প্রস্তাবিত জেলার গঠনের পরে তার জেলা পরিষদও তৃণমূলের দখলেই থাকবে। একই সঙ্গে এই জেলা পরিষদই হতে চলেছে রাজ্যের সব থেকে ক্ষুদ্র জেলা পরিষদ যার সদস্য সংখ্যা হবেন মাত্র ১২জন। বসিরহাট জেলায় যে তৃণমূলের আধিপত্য বজায় থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না। বাস্তবেও দেখা গিয়েছে মহকুমা জুড়ে তৃণমূলেরই দাপট। তাই সেই জেলা গঠন নিয়েও এখন আর কোনও সমস্যা নেই।