নিজস্ব প্রতিনিধি: নার্সিংহোমের সেফটি চেম্বারের কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। গুরুতর অসুস্থ আরও দুই শ্রমিক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগের নবপল্লি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই শ্রমিকের নাম হানিফ খান ও রঘুনাথ রায়। হানিফের বয়স ২২ বছর। তিনি বাঁকুড়া জেলার বৈতল গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে রঘুনাথের বয়স ৪০ বছর। তাঁর বাড়ি খানাকুলের তাঁতিশাল গ্রামে। রবিবার সকালে আরামবাগের নবপল্লি এলাকায় নির্মীয়মান ওই নার্সিংহোমে কাজ করছিলেন হানিফ খান ও রঘুনাথ রায়-সহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। সেই সময় সেফটি চেম্বারে কাজ করতে নামেন হানিফ ও রঘুনাথ। সেফটি চেম্বারের কাজ করতে নামলেও অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও ওঠেনি ওই দুই শ্রমিক। আর তখনই খোঁজ নিতে নামেন আরও দুই জন শ্রমিক। খোঁজ নিতে নামা শ্রমিকরাও চেম্বারে নামার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর নির্মীয়মান নার্সিংহোমে কর্মরত সব শ্রমিক তড়িঘড়ি চারজনকে উদ্ধার করে ওপরে তুলে আনেন। চিকিৎসার জন্য তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা হানিফ খান ও রঘুনাথ রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুই অসুস্থ শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে এমন মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সেফটি চেম্বারে কাজ করানোর আগে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি দমকল বাহিনীর কাছ থেকে কেন পরামর্শ নেওয়া হয়নি তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।