নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর জাতি শংসাপত্র মামলায় বিতর্কে জড়ানো উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক এবং উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিওকে বদলি করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পারসোনাল অ্যান্ড অ্যাডমিনেট্রেটিভ রিফর্মস (ওয়েস্টবেঙ্গল পার)দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুই আধিকারিককেই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি) পদে বদলির কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক ২০০৬ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) আধিকারিক শমীক ঘোষকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের ওএসডি পদে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক পদে পাঠানো হয়েছে ২০০৬ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক সৌম্য চট্টোপাধ্যায়কে। আর উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে’র জায়গায় পাঠানো হয়েছে ২০১৭ সালের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক সুদীপ দত্তকে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং আসনের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জমা দেওয়া সেই নথি পরবর্তী সময়ে বিকৃত করা হয়েছিল। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে’র নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। ওই কমিটির রিপোর্টে উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক ও ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-কে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিডিও এবং এসডিও। যদিও স্বস্তি পাননি তাঁরা।